বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৯টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যভাগ অতিক্রম করে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রাতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে রাত থেকে বৃষ্টিপাত অনেকটা কমে আসবে। ’
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাকলিয়া, মুরাদপুর, চকবাজার, বাদুরতলা, আগ্রাবাদসহ নগরীর বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। অনেকের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস ও স্কুলগামী লোকজন।
বাদুরতলা এলাকার সাকিব আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাতে বৃষ্টি হয়েছে। সকালে উঠে দেখি রাস্তায় হাঁটুপানি। অনেকের দোকানের ভিতরে পানি ডুকে পড়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টি হলেই বাদুরতলা এলাকার সড়কে পানি উঠে যায়। এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই। বৃষ্টি হলেই সড়কে হাঁটুপানি। তখন আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। ’
বাকলিয়া এলাকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘শুধু বৃষ্টি নয় জোয়ার হলেই এলাকায় পানি উঠে যায়। ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে খুব দুর্ভোগে পড়তে হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে নগরীতে সমন্বিতভাবে প্রকল্প নিতে হবে। যাতে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা রোধ করা যায়। না হলে আমাদের দুর্ভোগ কখনো যাবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি