মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাস স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ দুটি পক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন নোমান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস গণি চৌধুরী। অন্যপক্ষের নেতৃত্বে আছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, উপজেলা সদরে কর্মসূচি শেষ করে মিছিল নিয়ে ফিরছিল সোহরাব হোসেন নোমান ও ইউনুস গণি চৌধুরীর নেতাকর্মীরা। এসময় মঞ্জুরুল আলমের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে মঞ্জুর অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ব্যানার নিয়ে ছিড়ে ফেলে। এর পরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে চারজন আহত হন।
ঘটনার সময় স্থানীয়রা চার-পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দ শুনতে পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী থানার সহকারী উপ পরিদর্শক আবদুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
তবে তিনি ফাঁকা গুলির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে এই ঘটনায় মঞ্জু পক্ষের তিনজনকে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গেছে। এর প্রতিবাদে মঞ্জুর পক্ষের লোকজন বাস স্টেশন এলাকায় অবস্থান করছে। তারা আটক করা তিনজনকে ছেড়ে না দিলে সড়ক অবরোধের হুমকি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
টিএইচ/টিসি