ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মৃত্যুর পরও ডাণ্ডাবেড়ি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
মৃত্যুর পরও ডাণ্ডাবেড়ি! মৃত্যুর পরও ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয় হাজতি মো. রায়হানকে।

চট্টগ্রাম: কক্সবাজার কারাগারের এক হাজতি হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ডাণ্ডাবেড়ি পরানো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কারাগারে নির্যাতনে এ মৃত্যু বলে অভিযোগ করেছে পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, মোহাম্মদ রায়হান (২৪) নামের ওই হাজতি যুবক সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মারা যান। তিনি কক্সবাজার জেলা শহরের নূর পাড়ার বাসিন্দা মৃত আমির হোসেনের ছেলে।

শহরে ফলমূল ফেরি করে জীবিকা নির্বাহকারী এই যুবককে পুলিশ কয়েকদিন আগে ধরে কারাগারে প্রেরণ করে। দুটি চুরির মামলার আসামি দেখানো হয় তাকে।

রায়হানের ছোট ভাই আরমান জানান, রোববার কারাগারে আটক তার ভাইকে দেখতে যান তিনি। এ সময় রায়হান বলেছিল, কারা ওয়ার্ডে শুক্রবার থাকার জায়গা নিয়ে অন্য হাজতিদের সাথে তার ঝগড়া হয়েছিল। কারারক্ষীরা তাকে বেদম মারধর করে। রায়হানের পেটে অপারেশন ছিল। রক্ষীদের মারধরের আঘাত লেগেছিল সেই পেটের ক্ষতস্থানে। এ কারণে রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়ে।

কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়া রায়হানকে সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সদর হাসপাতালে নেওয়ার ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই মারা যান তিনি।

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান জানান, হাসপাতালে যখন এই হাজতিকে আনা হচ্ছিল তখন তার অবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এ কারণে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান।

হাসপাতালে মৃত্যুর পরেও হাজতি রায়হানের পায়ে লাগানো ডাণ্ডাবেড়ি খুলে নেওয়া হয়নি। এমনকি ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত মরদেহের পায়ে লাগানো ছিল ডাণ্ডাবেড়িটি। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ময়নাতদন্ত করার আগে ডান্ডাবেড়ি খুলে নেওয়া হয়। এ নিয়ে এক সপ্তাহে কক্সবাজার কারাগারে দুইজন হাজতি মারা যান।

নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বজলুর রশীদ বলেছেন, ‘হাজতি রায়হান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমাদের নিয়ম মতে কারাগারের বাইরে কাউকে নেওয়ার সময় পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি লাগানো হয়। তাই তাকেও লাগানো হয়েছিল। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।