ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা কোস্টগার্ড সদস্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা কোস্টগার্ড সদস্য ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: টেকনাফ থেকে বাহকের মাধ্যমে ইয়াবা এনে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এক কোস্টগার্ড সদস্য।  নগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই বাহককেও আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা মন্দিরের সামনে থেকে আটক হয়েছেন মো.লাট মিয়া ওরফে ইমন (২৮) নামে ওই কোস্টগার্ড সদস্য।   এর দুইঘণ্টা পর একই স্থানে ইয়াবা বিক্রির টাকার ভাগ নিতে এসে ধরা পড়েছেন বাহক আক্তার হোসেন (২৮)।

ইয়াবাসহ কোস্টগার্ড সদস্য আটকের বিষয়টি জানিয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মো.তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমরা কোস্টগার্ডের কাছে তাদের সদস্যকে হস্তান্তর করব।   বন্দর থানায় নিয়মিত মামলাও হবে।

লাট মিয়া ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার পাকরগাছি গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে।   আর আক্তার হোসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনে লাট মিয়া এমভি তানভীর জাহাজের নাবিক হিসেবে কর্মরত আছেন।   নগরীর কাটগড় ডেইলপাড়া এলাকায় স্ত্রী ও ছয় বছরের এক ছেলে নিয়ে তিনি ভাড়া থাকেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে লাট মিয়া কোস্টগার্ডে যুক্ত হন।   চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেড় মাসের জন্য তিনি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন।  

সাংবাদিকদের সামনে লাট মিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ভালো ক্রিকেট খেলেন।   শাহপরীর দ্বীপে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।   সোমবার সকালে আক্তার তাকে ফোনে ইয়াবা নিয়ে লাট মিয়ার বাসায় আসছেন।   বিকেলে আক্তার সিম্ফনি মোবাইলের শপিং ব্যাগে ইয়াবা নিয়ে তার বাসায় আসেন।   আক্তারের ইয়াবা নিয়ে আসার বিষয়টি জানতেন না লাট মিয়ার স্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে আনোয়ার নামে একজনের কাছে লাট মিয়া ইয়াবাগুলো বিক্রি করতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।

আক্তার সাংবাদিকদের সামনে পুলিশকে জানিয়েছে, লাট মিয়াই তাকে টেকনাফ থেকে ইয়াবাগুলো আনার জন্য বলেছিল।   সেগুলো বিক্রির টাকা থেকে দুজনে ভাগ করে নেয়ার কথা ছিল।

সূত্রমতে, কোমরের বেল্টের সঙ্গে কোস্টগার্ডের পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে লাট মিয়া ইয়াবাগুলো নিয়ে এসেছিলেন গোসাইলডাঙ্গা এলাকায়।   বিক্রির পর সেখানে টাকার ভাগ বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল আক্তারকে।  

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে লাট মিয়াকে আটক করে।   এরপর মোবাইলে আক্তারকে ডেকে এনে তাকেও আটক করা হয়।  

তবে লাট মিয়া এবং আক্তার দুজনই জানিয়েছে, এই প্রথম তারা ইয়াবার একটি চালান নগরীতে এনেছে।   এর আগে তারা কখনো ইয়াবা বিক্রি করেনি।

তবে পুলিশের ধারণা, দুজন আগে থেকেই ইয়াবা বেচাকেনায় জড়িত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।