ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তিনজনের প্রাণহানির পর সড়কের গর্ত ভরাট শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
তিনজনের প্রাণহানির পর সড়কের গর্ত ভরাট শুরু তিনজনের প্রাণহানির পর সড়কের গর্ত ভরাট শুরু। ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোডের নিমতলায় কনটেইনারবাহী লরি চাপায় সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ তিনজনের মর্মান্তিক প্রাণহানির পর সড়কের খানাখন্দ ভরাটের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে চসিকের প্রকৌশল বিভাগের রাস্তা মেরামতকারী দল ও ঠিকাদারদের লোকজনকে গর্ত ভরাটের কাজ করতে দেখা যায়।

রোববার (১৩ আগস্ট) নিমতলা এলাকায় দুর্ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন মো. মোশাররফ হোসেন মুসা (৫০), মো. ওয়াজেদ আলী বাবুল (৪৫) ও সিএনজি চালক মো. জসিম সিকদার (৩৮)।

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান রামগতি লক্ষ্মীপুরের বিবিরহাট এলাকার আবদুল মোতালেবের ছেলে মো. সাইদুল (২৬) ও পশ্চিম লক্ষ্মীপুরের দুধু মিয়া বেপারির বাড়ির মো. শফিউল্লাহর ছেলে মো. সুজন (২৯)।

তিনজনের প্রাণহানির পর সড়কের গর্ত ভরাট শুরু।                                             <div class=

ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ" src="http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/ccc-bg120170814202527.jpg" style="margin-bottom:5px; margin-top:5px; width:100%" />

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মেয়রের নির্দেশ অনুযায়ী পাঁচ দিনের মধ্যে পোর্ট কানেকটিং রোডের সব গর্ত ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ লক্ষ্যে দিনে-রাত সমানে কাজ চলছে। এ মাসের বাকি ১৮ দিনের মধ্যে নগরীর সব প্রধান সড়কের খানাখন্দ ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করার মিশন নিয়ে কাজ করছে চসিক।

নিমতলা এলাকায় দায়িত্বরত চসিকের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে দেড়শ শ্রমিক গর্ত ভরাটের কাজ করছে। নিমতলা বিমান চত্বর থেকে ব্রিজ পর্যন্ত অংশে ছয়টি দলে ভাগ হয়ে শ্রমিকরা কাজ করছে। সারা রাত চলবে।

তিনজনের প্রাণহানির পর সড়কের গর্ত ভরাট শুরু।  ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

তিনি বলেন, পোর্ট কানেকটিং সড়কটি ১৮ হাজার ৬০০ ফুট লম্বা। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। এখানে ‍খানাখন্দ নিয়মিত ভরাট করা হলেও সম্প্রতি ভারী বর্ষণের সময় এবং জোয়ারের পানি উঠে খুব বেশি খারাপ অবস্থা হয়েছে। আমরা বড় গর্তগুলো ফিলিং করে সলিন করে দিচ্ছি। ছোট গর্তগুলোতে কংক্রিটের মেকাডাম দিচ্ছি।

সড়কটি নতুনভাবে তৈরির জন্য জাইকার অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যখন সড়কটি তৈরি করেছিল তখন বন্দরের ২৫-৩০ টন ওজনের লরি চলাচলের বিষয়টি হয়তো ভাবা হয়নি। সাত-আট ইঞ্চির দুর্বল মেকাডামের ওপর নির্মিত সড়কটি ভারী গাড়ির লোড নিচ্ছে না। এখানে কমপক্ষে আড়াই ফুট মেকাডাম এবং সড়কটি উঁচু করা দরকার।    

‘প্রথম চাপেই ডানপাশের দুজন শেষ, চালক আধঘণ্টা ছিল’

কন্টেইনারবাহী লরিচাপায় নিহত ৩   

সড়কে নরক-যন্ত্রণা, চসিকের দৃষ্টি অ্যাসফল্ট প্ল্যান্টে

পানি নামতেই উঁকি দিচ্ছে ভাঙা সড়ক

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।