ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
‘বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না’ বক্তব্য দেন সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস কোনে‍া দিন পূর্ণতা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন।

রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য সত্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ড. অনুপম সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালির ইতিহাসের মহাকাব্যের মহানায়ক।
শেখ মুজিবের সাহস, ব্যক্তিত্ব ও সম্মোহনী শক্তির জাদুবলে তিনি বাঙালির একক নেতা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। শতশত বছর ধরে বাঙালি জাতি ছিল পরাধীনতার জালে আবদ্ধ, শোষণ-নিপীড়নে জর্জড়িত।
ব্রিটিশ আমল থেকে পাকিস্তানি শাসন ২২৪ বছরের গোলামী আর শাসন-শোষণে নিপীড়িত বাঙালির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। পাকিস্তানের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বাঙালির অধিকার আদায়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করেন বঙ্গবন্ধু। এ ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তির ‘ম্যাগনাকার্টা’। এর ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানি শাসকরা শেখ মুজিবকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ আখ্যা দেয় এবং ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছিল। বাংলার জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে কারামুক্ত করে ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্সের বিশাল জনসমুদ্রে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। পরবর্তীতে একের পর এক অগ্নিঝরা রক্তস্নাত ঘটনার বাঁক পেরিয়ে একাত্তরের ৭ মার্চের উত্তাল মহাসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু ডাক দিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’ এরপর নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
 
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ।
 
নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের ইতিহাস জেল-জুলুম ও অত্যাচারের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু মুজিব গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা তথা শোষিতের পক্ষে আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন। ইতিহাস প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস।
 
সংগঠনের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভবতোষ নাথ, আলাউদ্দিন সাবেরী, মহিউদ্দিন রাশেদ, আবুল বশর, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, অ্যাডভোকেট এমএ নাসের চৌধুরী, জাফর আহমেদ, মো. শওকত আলম, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, শাহনেওয়াজ চৌধুরী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।