ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেরে মরদেহ ড্রামে ভরে সিমেন্টে ঢালাই

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
মেরে মরদেহ ড্রামে ভরে সিমেন্টে ঢালাই মেরে মরদেহ ড্রামে ভরে সিমেন্টে ঢালাই

চট্টগ্রাম: ড্রামের ভেতর সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নগরীর এনায়েত বাজারের রাণীর দীঘি থেকে রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ড্রাম ভেঙে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

আনুমানিক ২৮-৩০ বছর বয়সী যুবকের মরদেহটি গলিত হওয়ায় পরিচয় চিহ্নিত করা যায়নি। তবে কেউ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
 
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের সহকারী কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘মরদেহটি সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা লোহার একটি ড্রাম ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে। আনুমানিক ২৮-৩০ বছর বয়সী যুবকের মরদেহটি গলিত হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
তবে মরদেহের গলায় কাপড় পেঁচানো রয়েছে। পরনে রয়েছে লুঙ্গি। শরীর থেকে চামড়াগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঢালাই করা ওই ড্রামে সিমেন্টের সাথে লেগে পাগুলো অনেকটা বিচ্ছিন্ন ও মাথার চুল খসে পড়ে গেছে। নিহত ব্যক্তি শ্রমিক শ্রেণির লোক হতে পারে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে। ’
 
এর আগে, রোববার সকালে স্থানীয় লোকজনের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ রাণীর দীঘিতে ভাসমান দেড় হাত লম্বা ড্রামটি উদ্ধার করে। প্রথমাবস্থায় ড্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য ধারণা করায় পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইমসিন, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরবর্তীতে ড্রামটি করাত দিয়ে কেটে এবং খুন্তি দিয়ে ভেঙে গলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ড্রাম থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
 
রাজেশ নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, শনিবার থেকে ড্রামটি রাণীর দীঘিতে ভাসতে দেখা গেছে। আমরা মনে করেছি, কে বা কারা এমনিতেই দীঘিতে ড্রামটি ফেলেছে। পরে সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
 
সিএমপি পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা রাণীর দীঘির পাড়ে এসে মরদেহটি পরিদর্শন করে গেছেন। সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা ড্রাম ভাঙার সময় স্থানীয় উৎসুক হাজারো জনতা ভিড় করতে দেখা গেছে।
 
পুলিশের ধারণা, কোনো সন্ত্রাসী চক্র ৬-৭ দিন আগে শ্বাসরোধ করে যুবকটিকে হত্যা করে। পরে একটি লোহার ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে রাতের কোনো একসময়ে ভ্যানগাড়ি অথবা রিকশা করে নিয়ে এসে ড্রামটি দীঘিতে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। ফিশারিঘাটে মাছের ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত লোহার ড্রামটিতে ‘এলইউবিএক্স’ লেখা রয়েছে।
 
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ‍পাওয়ার পর ঘটনার উৎস সম্পর্কে জানা যাবে বলে জানান সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
 
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।