ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই

চট্টগ্রাম: আন্দোলনের নামে যারা পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নগরীর মুসলিম হলে আয়োজিত সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে পঁচাত্তরের মত আর কোন ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাজারো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। যারা আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে বাংলাদেশের মাটিতে তাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।
তাদেরকে রাজনীতির মাঠে প্রতিহত করতে হবে।

গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, বাঙালির হাজার বছরের পরাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টিই হতো না। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। খুনিরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতির সমস্ত অর্জন ধবংস ও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যহত করা হয়।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও  জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম এমপি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়া মোস্তাকই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার হলেও ষড়যন্ত্রকারী কুশীলবদের বিচার হয়নি। বাংলাদেশের মাটিতে ভবিষ্যতে তাদেরও বিচার হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ বারেবারে সংকটে পড়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানে কিভাবে সংকট মোকাবেলা করতে হয়।  

সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, সিরাজুদৌল্লাহ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শেখ শফিউল আজম, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, দেবাশীষ পালিত, এহসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, মো. আলী শাহ, শাহজাহান সিকদার, মহিউদ্দিন বাবলু, জসিম উদ্দিন শাহ, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুন, আবুল কাশেম চিশতি, আলাউদ্দিন সাবেরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।