ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তিন বছরে জলাবদ্ধতামুক্ত হবে চট্টগ্রাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
তিন বছরে জলাবদ্ধতামুক্ত হবে চট্টগ্রাম তিন বছরে জলাবদ্ধতামুক্ত হবে চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম: বর্তমানে চট্টগ্রামে ৩টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে জানিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেছেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আগামী তিন বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতামুক্ত হবে বন্দর নগরী।

শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের সহায়তা কামনা করে বলেন, তাঁর সহায়তা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

 

নগরীর জিইসি মোড়ের ওয়েলপার্কে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আবদুচ ছালাম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের সহায়তা ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস মেয়র মনে-প্রাণে সাপোর্ট দেবেন।

তবে এখনো ওনার সঙ্গে কথা হয়নি। ওয়াসার এমডির সঙ্গে কথা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।  

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা ও যানজটমুক্ত, শিল্পবান্ধব নগরে পরিণত হবে জানিয়ে আবদুচ ছালাম বলেন, ‘আট বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নগর উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছেন। অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমি অবিচল ছিলাম। আমার যোগ্যতা ও মেধার পুরোটাই একাজে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চলমান তিনটি মেগা প্রকল্পের আওতায় ২৮টি খালের মুখে টাইডাল রেগুলেটর (জোয়ার প্রতিরোধক) স্থাপন করা হবে। প্রকল্প শেষ হলে জোয়ারের পানি ঢুকে আগ্রাবাদ ও হালিশহরে আর জলাবদ্ধতা হবে না। জোয়ারের পানিতে নষ্ট হবে না চাক্তাইয়ের পণ্যও। জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন হবে এবং তিনবছরে চট্টগ্রাম হবে জলাবদ্ধতামুক্ত।

ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়কের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,  ২০১৮ সালের মধ্যে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বাইপাস সড়ক চালু হলে। এটি চালু হলে চট্টগ্রামের যানজট অর্ধেকে নেমে আসবে। ইতিমধ্যে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত আউটার রিংরোডের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে আউটার রিংরোডের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে। এখানে লোকজনের জন্য ৫ কিলোমিটারজুড়ে বিনোদন স্পট গড়ে তোলা হবে। আগামী ৫ বছর পর প্রকৃত অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানীতে রূপান্তর হবে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামবাসী ফিরে পাবে তার হারানো গৌরব। ৮ বছরের মধ্যে খণ্ডিত দায়িত্ব পেয়েছি সিডিএ’র। তাই পরিকল্পনাও নিয়েছি তদ্রুপ। চট্টগ্রাম দুর্বল হলে, বাংলাদেশ দুর্বল হয়ে যাবে।

জিইসি মোড়ের লুপ নির্মাণ ছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, লুপ নির্মাণসহ ফ্লাইওভারটির পুরোপুরি কাজ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে লালখানবাজার-বিমানবন্দর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে। এ ফ্লাইওভারটিতে গণপরিবহন চলতে পারবে। এমনকি গণপরিবহনের সুবিধার জন্য ফ্লাইওভারের উপর টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, কাস্টমস,ইপিজেড ও কেইপিজেড এলাকায় বাস স্টপেজ থাকবে।

মতবিনিময় সভায় সিডিএ’র বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, স্থপতি সোহেল শাকুর,সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান ও উপ-সচিব অমল গুহ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।