দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদি হয়ে গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (বর্তমানে কমিটি স্থগিত) আলমগীর টিপু, কর্মী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরোব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমানের নাম উল্লেখ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত দিয়াজ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দিয়েছেন। গ্রেফতারের আগে আমাদের কিছু প্রক্রিয়া ছিল, সেগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তারা আত্মহত্যা বলে প্রতিবেদন দিলে সেটি দিয়াজের পরিবার প্রত্যাখান করে।
পরে দিয়াজের মা বাদি হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে ওই ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। আদালত সরাসরি মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সিআইডি তদন্তের স্বার্থে দিয়াজের মরদেহ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠান।
সাত মাস পর দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডিকে জমা দেয় ঢাকার ফরেনসিক বিভাগ। সেখানে দিয়াজের মৃত্যু হত্যামূলক বলে উল্লেখ করা হয়। পরে চলতি মাসের ৭ তারিখ চট্টগ্রাম আদালত আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি