প্রত্যেকটি কর অঞ্চলের অধীন সার্কেল এরিয়ায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এসব ক্যাম্পের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আয়কর সেবার পাশাপাশি আয়কর সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের কর অঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরী, তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোট ৪৪টি ‘ক্যাম্প’ স্থাপন করা হবে। এরমধ্যে কর অঞ্চল-১ এর অধীনে ১৬, কর অঞ্চল ২ এর ৮, ৩ এর ৭ ও কর অঞ্চল চার এর অধীনে ১৩টি ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
এসব ক্যাম্পে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন সেবা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মধ্যে করভীতি দুর ও সচেতনা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন কর কর্মকর্তারা।
কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মাহবুব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আয়কর ক্যাম্পের মাধ্যমে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা, আয়কর সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং সেবা সম্পর্কে জানানোর জন্য আয়কর ক্যাম্প কর্মসূচি চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন এনবিআর। নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামের চারটি কর অঞ্চল এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে ‘আয়কর ক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা সম্ভাব্য স্থান এবং সময় নির্ধারণ করেছি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমতি পেলে চূড়ান্ত করে কাজ শুরু করবো।
জানা গেছে, কর অঞ্চল-১ এর আওতাধীন এলাকায় ১৬ স্থানে ‘আয়কর ক্যাম্প’ স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে নগরীর আশপাশের ৯ উপজেলার ১১ এবং নগরীর পাঁচটি স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
১৬ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত পটিয়া উপজেলায়, মিরসরাইতে ৩০ থেকে ৩১ আগস্ট, বারৈয়ারহাটে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর, আনোয়ারায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর, ফটিকছড়িতে ২৫ থেকে ২৬ অক্টোবর, নাজিরহাটে ৫ থেকে ৬ ডিসেম্বর, বাঁশখালীতে ১৯ থেকে ২০ ডিসেম্বর, সাতকানিয়ায় আগামী বছরের ৩ থেকে ৪ জানুয়ারি, বোয়ালখালীতে ২২ থেকে ২৩ জানুয়ারি, কর্ণফুলীতে ৬ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি এবং রাঙ্গুনিয়ায় ২৬ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী বছরের ৫ থেকে ৬ মার্চ নরগীর জিইসি মোড়ে, ২০ থেকে ২১ মার্চ লালখান বাজারে, ৩ থেকে ৪ এপ্রিল সানমার ওশান সিটি ও ফিনলে স্কয়ার, ২৪ থেকে ২৫ এপ্রিল মিমি সুপার মার্কেট ও আফমি প্লাজা এবং ৮ থেকে ৯ মে নগরীর ওয়াসা মোড়ে ক্যাম্প কার্যক্রম চলবে।
ক্যাম্পে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন, স্পট অ্যাসেসম্যান্টের মাধ্যমে কর নির্ধারণ, দাবি সৃষ্টি ও আদায়, আয়কর প্রত্যয়ন ও আয়কর সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হবে।
কর অঞ্চল-২:
কর অঞ্চল-২ এর অধীন আটটি স্থানে আগামী ২২ আগস্ট থেকে আয়কর ক্যাম্প কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কর কমিশনার প্রদ্যুৎ কুমার সরকার।
তিনি জানান, ২২ থেকে ২৩ আগস্ট নগরীর জামালখান এলাকায়, ১৮ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পাহাড়তলী (সিডিএ মার্কেট ও আশপাশের মার্কেট), ১৭ থেকে ১৮ অক্টোবর মুরাদপুর (শপিং কমপ্লেক্স সংগলগ্ন মার্কেক), ১৮ থেকে ১৯ ডিসেম্বর জুবলী রোড (এনায়েত বাজার সংলগ্ন মার্কেট), আগামী বছরের ২৪ থেকে ২৫ জানুয়ারি বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদর সংলগ্ন মার্কেট, ১৩ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ, ১৩ থেকে ১৪ মার্চ লোহাগাড়া পদুয়া এবং ১৭ থেকে ১৮ এপ্রিল চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী বাজারে ক্যাম্প কার্যক্রম চলবে।
কর অঞ্চল-৩:
২১ থেকে ২২ আগস্ট নগরীর টেরিবাজার, ১৯ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর খাতুনগঞ্জ আমীর মার্কেট, ১৬ থেকে ১৭ অক্টোবর হাটহাজারী উপজেলা সদর, ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর রাউজান উপজেলা সদর, আগামী বছরের ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা সদর, ২০ থেকে ২১ মার্চ মাটিরাঙা উপজেলা সদর, ১৭ থেকে ১৮ এপ্রিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সদরে আয়কর ক্যাম্প কার্যক্রম চলবে।
কর অঞ্চল-৪:
এ অঞ্চলের বিভিন্ন সার্কেলের অধীন ১৩টি স্থানে ‘আয়কর ক্যাম্প’ স্থাপন করা হবে। ১০ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের বড় বাজার, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী ও ঈদগাঁ বাজারে ক্যাম্প কার্যক্রম চলবে। ১২ সেপ্টেম্বর চকরিয়া সিটি সেন্টার, ১৩ সেপ্টেম্বর নগরীর মাঝিরঘাট, ১৭ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা স্টিলমিল বাজার, ২০ সেপ্টেম্বর ফিরিঙ্গী বাজার, ২৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ও ২ থেকে ৩ অক্টোবর বায়তুশশরফ মাদ্রাসা মাঠ ও ডিটি রোড, ২৬ সেপ্টেম্বর গোলাম রসুল মার্কেট ও রহমান ম্যানশন, ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার রামু সদর, ২ থেকে ১০ অক্টোবর রিয়াজুদ্দিন বাজার, ১৮ থেকে ১৯ অক্টোবর কক্সবাজার মহেশখালী গোরকঘাটা, ২২ থেকে ২৩ অক্টোবর নিউ মার্কেট ও বালুচরা বাজার, ২ থেকে ৩ ডিসেম্বর চকবাজার গোলজার টাওয়ার মোড়, ৩ থেকে ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলার উখিয়া এবং ৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর টেকনাফে ক্যাম্প স্থাপন করে সেবা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এমইউ/টিসি