ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই জুনু মিয়ার স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস চবি কর্তৃপক্ষের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
সেই জুনু মিয়ার স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস চবি কর্তৃপক্ষের জুনু মিয়ার পরিবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের টিন মেরামতের সময় পড়ে গিয়ে করুণ মৃত্যুর শিকার জুনু মিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসের কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট‌্রার অধ্যাপক ড.কামরুল হুদা।

সোমবার (৭ আগস্ট) বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদ দেখে এই সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জুনু মিয়ার মেয়ে কাউসার আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সকালে রেজিস্ট‌্রার স্যার কল করে অফিসে যেতে বলেন।

আমরা অফিসে গেলে তিনি একটি আবেদন লিখে দিতে বলেন। আমার মাকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

জানতে চাইলে রেজিস্ট‌্রার কামরুল হুদা বলেন, উপাচার্য স্যার জরুরি কাজে ঢাকায় গেছেন। জুনু মিয়ার পরিবারকে একটি আবেদন লিখে দিতে বলেছি, উপাচার্য স্যার আসলে তাদেরকে নিয়ে আমিসহ যাব। জুনু মিয়ার স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করব।

এর আগে সোমবার ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে নোমান নামে এক ব্যক্তি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই পরিবারের জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন।

রাত ৮টার দিকে নোমানের পাঠানো টাকা পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন জুনুর মেয়ে কাউসার আক্তার। সহানুভূতি জানিয়ে অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানিয়েছিলেন কাউসার।

গত ২ আগস্ট গ্রন্থাগারের তিনতলায় টিন মেরামতের সময় পড়ে গিয়ে মারা যান জুনু মিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বপাশে বাড়ি তার। স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার। টানাটানি থাকলেও কোনোরকমে খেয়ে-পরে দিনপার করছিলেন।

জুনু মিয়ার পাঁচ মেয়েই পড়ালেখায় আছেন। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি প্রাইমারি স্কুলে পড়ছে। ছোট ছেলেটির বয়স সবেমাত্র এক বছর।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি

**নিঃস্ব সেই পরিবারের প্রতি সহানুভূতির হাত

**বাবাকে হারিয়ে নিঃস্ব সন্তানরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।