সোমবার (৭ আগস্ট) বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদ দেখে এই সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জুনু মিয়ার মেয়ে কাউসার আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সকালে রেজিস্ট্রার স্যার কল করে অফিসে যেতে বলেন।
জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার কামরুল হুদা বলেন, উপাচার্য স্যার জরুরি কাজে ঢাকায় গেছেন। জুনু মিয়ার পরিবারকে একটি আবেদন লিখে দিতে বলেছি, উপাচার্য স্যার আসলে তাদেরকে নিয়ে আমিসহ যাব। জুনু মিয়ার স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করব।
এর আগে সোমবার ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে নোমান নামে এক ব্যক্তি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই পরিবারের জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন।
রাত ৮টার দিকে নোমানের পাঠানো টাকা পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন জুনুর মেয়ে কাউসার আক্তার। সহানুভূতি জানিয়ে অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানিয়েছিলেন কাউসার।
গত ২ আগস্ট গ্রন্থাগারের তিনতলায় টিন মেরামতের সময় পড়ে গিয়ে মারা যান জুনু মিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বপাশে বাড়ি তার। স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার। টানাটানি থাকলেও কোনোরকমে খেয়ে-পরে দিনপার করছিলেন।
জুনু মিয়ার পাঁচ মেয়েই পড়ালেখায় আছেন। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি প্রাইমারি স্কুলে পড়ছে। ছোট ছেলেটির বয়স সবেমাত্র এক বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি