চট্টগ্রামে দায়িত্ব নিয়েই নগরী ও জেলার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিক ধাপে ১৫টি উপজেলায় ১৫ জন করে ২২৫ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, যাচাই বাছাইয়ের পর পুনর্বাসনযোগ্য ভিক্ষুকদের স্বাবলম্বী করার জন্য ব্যবসার উপকরণ, সেলাইমেশিন, রিকশা, ভ্যান, টি-স্টল, ছোট আকারের হাঁস-মুরগির খামারের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, প্রাথমিক ধাপে ১৫ উপজেলার ২২৫ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেজের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে আরও ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হবে। স্থানীয় তহবিল ও স্বচ্ছল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান, সমিতির অর্থায়নে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
পাশাপাশি জেলা প্রশাসন নগরীসহ সমগ্র জেলাজুড়ে নাম-ঠিকানা, ছবিসহ পুনর্বাসনযোগ্য ভিক্ষুকদের পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেজ বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম মনিটর করছেন। স্থানীয় জনগণকে পুনর্বাসিত ভিক্ষুকদের কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করতে অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সাসটেনবল ডেভলপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এক নম্বর গোল হচ্ছে ‘সকল পর্যায়ের দারিদ্র্য নির্মূলকরণ। ’ এরই আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ‘দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত এবং মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমরা নগরী ও ১৫ উপজেলাসহ সমগ্র জেলাজুড়ে ‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম’ বাস্তবায়ন করছি। ’
তিনি জানান, ইতিমধ্যে পটিয়ায় ১০ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৫ জন, ফটিকছড়িতে ১৫ জন ও সাতকানিয়ায় ৫০ জন, মহানগরে ১ জন সহ মোট ৯১ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ডেটাবেজের ভিত্তিতে পুনর্বাসনযোগ্য সকল ভিক্ষুককে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা হবে। ’
সমগ্র জেলাজুড়ে ‘ভিক্ষুক মুক্তকরণ কার্যক্রম’ বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম জেলায় মানবসম্পদের সুষ্ঠু অবদান নিশ্চিত করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।
বিভিন্ন উপজেলায় পুনর্বাসিত কয়েকজন ভিক্ষুকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এর মধ্যে দিয়ে তাদের ভিক্ষাবৃত্তির অন্ধকার সময় দূর হয়েছে। এখন থেকে তারা জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া সাহায্য নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগোবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি