জেলা শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারিতে মুহাম্মদ ফারুক আজমের পরিকল্পায় ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের সভাপতি এহতেশামুল হক।
অতিথি ছিলেন নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ হাসান, সংগঠক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এ্যানেল ও শফিকুল ইসলাম রাহী।
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও জীবন অবলম্বনে মাহতাব করিমের গ্রন্থনা ও এহতেশামুল হকের নির্দেশনায় বৃন্দ পরিবেশনা ‘বিদ্রোহে ধূমকেতু সারথি’ দিয়ে শুরু হয় প্রথম পর্ব। এতে অংশ নেন শিউলী বড়ুয়া, সুদেষ্ণা চৌধুরী ঐশী, শিরিন আক্তার চৌধুরী, পুনম বড়ুয়া, পিংকি বড়ুয়া, প্রিয়ম কৃষ্ণ দে, সায়ন্তন ভট্টাচার্য, পায়েল দাশ, মৃণ্ময়ী চৌধুরী ও রাজলক্ষ্মী ভট্টাচার্য।
অতিথিরা বলেন, অন্য শিল্পমাধ্যমে নিজেদের ঋদ্ধ করার জন্য শিল্পীরা বরাবরই আবৃত্তির দারস্থ হতেন এবং হচ্ছেন। দেশের সব রাজনৈতিক সংকট ও সম্ভাবনায় মঞ্চে ও রাজপথে আবৃত্তিশিল্পীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
ছোটদের একক আবৃত্তি পর্বে ‘সৎ পাত্র’ ওয়াছিত হোসেন, ‘পণ্ডশ্রম’ হাসিন ইশতিয়াক ও ‘পথের মাঝে’ নাবিল সারওয়ার খান আবৃত্তি করে।
বড়দের একক আবৃত্তিতে কৌশিক দত্ত ‘কৃতজ্ঞতা স্বীকার’, সুমাইয়া শাহরীন ‘দল বিচার’, অর্পা দে ‘মিথ্যে কথা’, ফাহমিদা ইয়াসমিন ‘সোনার তরী’, হাসান মোহাম্মদ রিয়াজ ‘প্রতীক্ষা’, রেফাই আহমেদ ‘নষ্ট হব হবে’ ও শাহাদাৎ হোসেন ‘কাঙ্ক্ষিত দেখা’ কবিতাগুলো আবৃত্তি করেন।
আমন্ত্রিত শিল্পীদেরও একক পরিবেশনায় আবৃত্তি করেন বর্ণ আবৃত্তি পাঠশালার সভাপতি সাইদুল করিম ও জাহানারা করিম, কণ্ঠনীড় বাচিক শিল্পচর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সেলিম রেজা সাগর, নির্মাণ আবৃত্তি অঙ্গনের অর্ণব বড়ুয়া ও পুষ্পা সর্ববিদ্যা এবং সুচয়ন ললিতকলা কেন্দ্রের কামনাশীষ চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠান শেষ হয় দিজেন্দ্রলাল রায়ের বিখ্যাত কবিতা ‘নন্দলাল’ অবলম্বনে মুহাম্মদ ফারুক আজমের গ্রন্থনা ও এহতেশামুল হকের নির্দেশনায় বৃন্দ পরিবেশনা ‘নন্দলাল’ দিয়ে। এতে অংশ নেন মোহাম্মদ ফারুক আজম, কৌশিক দত্ত, আব্বাস হোসাইন, সুমাইয়া শাহরিন, অর্পা দে, ফাহমিদা ইয়াসমিন, হাসান মোহাম্মদ রিয়াজ, রেফাই আহমেদ, শাহাদাৎ হোসাইন ও মোহাম্মদ আরিফ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই ২০১৭
এআর/টিসি