বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজের আদালতে তিনি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে নিরাজ গুরু হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেননি।
দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জবানবন্দি শেষে আদালত নিরাজ গুরুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। গত ১৪ জুলাই গভীর রাতে আকবর শাহ থানার আব্দুল হামিদ সড়কের ছয় তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আতিফ শেখ এবং আহত অবস্থায় উইলসন সিংকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে আতিফ শেখকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আতিফ শেখ ও উইলসন সিং ইউএসটিসির এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। একই বাসায় তাদের সঙ্গে ইউএসটিসিতে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থী নিরাজ গুরু ও তার স্ত্রীসহ মোট পাঁচজন থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর আতিফের বাবা আব্দুল খালেক আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে অভিযুক্ত করা না হলেও নিরাজ গুরুসহ আটজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন বাদি। মামলা দায়েরের পর ১৯ জুলাই নিরাজকে আটক করে আকবর শাহ থানা পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে আছেন নিরাজ। গত ২৩ জুলাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।