ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি-ভাতার দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান ধর্মঘট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি-ভাতার দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান ধর্মঘট ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ভাতা চালুর দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান ধর্মঘট

চট্টগ্রাম: সকল সরকারি কর্মচারি-কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ১ জুলাই ঘোষিত ৮ম পে-স্কেলে ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি এবং বৈশাখী ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারিরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত অভিযোগ করে এজন্য শিক্ষামন্ত্রীর ব্যর্থতা এবং সরকারি আমলাদের স্বৈরাচারী মনোভাবকে দায়ী করেছেন শিক্ষক নেতারা।

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে আয়োজিত অবস্থান ধর্মঘটে এসব কথা বলেন তারা। ৮ম পে-স্কেলে ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি এবং বৈশাখী ভাতা চালু না করার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তারা।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) ও বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) চট্টগ্রাম জেলা যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজিন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সভাপতি সৈয়দ লকিয়তউল্লাহ।

সভায় বক্তারা অবসর ভাতা ও কল্যাণ ফান্ডের বর্ধিত ৪ শতাংশ কর্তনের সিদ্ধান্ত শুধু স্থগিত নয় অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে সরকারকে নতুন গেজেট প্রকাশ করার আহ্বান জানান। এছাড়া অবসর ভাতা ও কল্যাণ ফান্ডের জন্য প্রতি অর্থ বছরে ৬০০ কোটি টাকা ভুর্তুকি দেওয়ার দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করা বহুল প্রত্যাশিত ২০১০ সালের শিক্ষানীতির সাথে সাংঘর্ষিক। এতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যে ব্যাহত হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা এবং বৈষম্যের দিক পরিলক্ষিত হবে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে এ ধরনের বিভাজন না করে এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে নিয়ে ২০১০ সালের শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার জরুরি।

শিক্ষাক্ষেত্রে সকল বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের মতো ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা, বছরে দুটি পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা প্রদান এবং নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করারও আহ্বান জানান। পরে শিক্ষক নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর শিক্ষক-কর্মচারিদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রদীপ কানুনগো, অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, নুুরুল হক সিদ্দিকী, শিমুল মহাজন, মো. আলতাজ মিয়া, রনজিত নাথ, ওসমান গণি, অধ্যক্ষ আবুল মনসুর মো. হাবিব, অধ্যাপক তড়িৎ ভট্টাচার্য্য, অধ্যাপক অজিত দাশ, মো. আবু বক্কর, শ্যামল দে, অধ্যাপক নোমান আহমাদ ছিদ্দিকী, আমীর হোসেন, মো. মহসীন, অধ্যাপক শ্যামল দাশ, উপাধ্যক্ষ বশির উদ্দিন কনক, মুকুল ভট্টাচার্য্য, মো. ফিরোজ চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ দেবপ্রিয় বড়–য়া অয়ন, বিচিত্রা চৌধুরী, মনিকা সেন, অধ্যাপক হামিদা বেগম, নির্মল দাশ, এ কে এম মঈনুদ্দিন, অধ্যাপক আশরাফ উল্লাহ, অধ্যাপক সুধীর চক্রবর্ত্তী, বরুন চক্রবর্ত্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭

এমইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।