১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪ ফুট উঁচু ও ৮০ ফুট প্রশস্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব দাশ বাংলানিউজকে জানান, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র নেওয়া আউটার রিং রোড প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রকল্পটি টেন্ডারে যাবে এবং অক্টোবরে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হবে।
সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে জানান, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা ও যানযট নিরসনে প্রকল্পটি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কর্ণফুলী তীরবর্তী এলাকা হয়ে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ হলে নগরীর চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট, বৃহত্তর বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কালুরঘাট ভারীশিল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীর উত্তর, উত্তর-পূর্ব অংশ, কাপ্তাই থেকে আসা যানবাহনগুলো শহরের প্রধান সড়কসমূহে বাইপাস করে শাহ আমানত সেতু হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও কক্সবাজারে দ্রুতসময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে নগরীর আগ্রাবাদ, নিউমার্কেট ও কোতোয়ালী এলাকার যানবাহনগুলো শহরের ভেতরের সড়কগুলো ব্যবহার না করে কর্ণফুলীর তীরবর্তী সড়ক দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীর উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে চলাচল করতে পারবে। একইভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানবাহনগুলো শহরের উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিক এবং কাপ্তাই অভিমূখে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে। ’
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। ২০২০ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি