ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারে ভাসল নগরীর নিম্নাঞ্চল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারে ভাসল নগরীর নিম্নাঞ্চল জোয়ারে তলিয়ে যায় সিডিএ আবাসিক এলাকা

চট্টগ্রাম: ভারী বৃষ্টি নয়, এবার পাহাড়ি ঢল, কাপ্তাই বাঁধ ও জোয়ারের পানিতে ভাসল নগরীর নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে মহেশখাল ও চাক্তাই খাল কেন্দ্রিক নিম্নাঞ্চলে হাঁটু থেকে কোমর-পানিতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। এ সময় কেউ কেউ রিকশাভ্যান এমনকি নৌকায় চলাচল করতে দেখা যায়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মাত্র ২৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

মঙ্গলবার প্রথম জোয়ার শুরু হয় সকাল ৮টা ৪৭ মিনিটে, ভাটা শুরু হয় বেলা ২টা ৬ মিনিটে।

দ্বিতীয় জোয়ার শুরু হবে রাত ৯টা ২০ মিনিটে। এর মধ্যে দুপুরেই পানি থই থই করে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক, গোসাইলডাঙ্গা, মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা, হালিশহর, বেপারিপাড়া, শান্তিবাগ আবাসিক, ছোটপুল এলাকায়।

শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার এত বেশি পানি উঠেছিল যে আমি ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ বোটে করে রাস্তা পার হতে হয়েছিল। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে হাঁটুপানি মাড়িয়ে আগ্রাবাদ যাওয়া আসা করেছি। এভাবে আর কত দিন দুর্ভোগ পোহাতে হবে কে জানে!

আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের হাতেখড়ি স্কুলের পাশেই বাসা আনোয়ারা আলমের। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আত্মীয় স্বজন একবার এলে দ্বিতীয় আসার নাম নিচ্ছেন না। পানির জন্য এলাকার নিচতলায় ভাড়াটিয়া থাকছেন না কয়েক মাস হলো। অবস্থাটা এমন যে, জোয়ার-ভাটার খেলা দীর্ঘস্থায়ী হলে নগরীর পাহাড়ি এলাকায় বাসা নেব ভাবছি।     

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আসাদগঞ্জ এলাকায় সোমবারের জোয়ারের চেয়ে কিছুটা কম পানি উঠেছে আজ (মঙ্গলবার)। জোয়ারের সময় চাক্তাই খাল দিয়ে যাতে পানি ঢুকতে না পারে সেটি বন্ধ করতে পারলেই দেশের প্রধান ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারটি রক্ষা করা সম্ভব। এর জন্য শক্তিশালী স্লুইসগেট স্থাপন করতে হবে। তাতে পাম্প হাউসও থাকতে হবে, যাতে অতিবৃষ্টির সময় পানি নদীতে ফেলে দেওয়া যায়।  

এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা জানিয়েছেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবর্ষণ, অতিমাত্রায় জোয়ার, কাপ্তাই বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়া এবং পাহাড়ি ঢলের পানি কর্ণফুলীতে প্রবেশ করায় নগরীর জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টিবিহীন অবস্থায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অমাবস্যার প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা সোমবার (২৪ জুলাই) ৪ দশমিক ৮ মিটারে উন্নীত হয়েছে। এসব কারণে জোয়ারের সময় জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।