ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বর্ষণ-জোয়ারে উত্তরে ৪ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
বর্ষণ-জোয়ারে উত্তরে ৪ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বর্ষণ-জোয়ারে উত্তর চট্টগ্রামের ৪ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

চট্টগ্রাম: কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। আশ্রয় কেন্দ্রেও অবস্থান নিয়েছে অনেকে। 

জানা গেছে, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার অন্তত ২৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের অনেক স্থানে সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

অনেক পরিবারে ঢুকে পড়েছে পানি। নদী ও খালের সঙ্গে লাগোয়া বসত ঘর, ভিটে ও ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর চট্টগ্রামের চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ক্ষয়ক্ষতি জানাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলার নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী, গড়দুয়ারা, মেখল, ধলই, ফরহাদবাদ, গুমানমর্দন, ফতেপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর জামান বাংলানিউজকে বলেন, ধলই ইউনিয়নের হালদা সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের চার স্থানে ভেঙেছে। এতে হালদার পানি আশপাশের গ্রামে ঢুকে পড়ে।

গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ড.শহিদুল্লাহ একাডেমির প্রধান শিক্ষক শিমুল মহাজন বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৫ বছরে এমন পানি দেখিনি। স্কুলে পানি ঢুকে অনেক ফাইল নষ্ট হয়ে গেছে।  স্কুল, কলেজ, ঘরবাড়ি ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বর্ষণ-জোয়ারে উত্তর চট্টগ্রামের ৪ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

স্থানীয়রা জানান, অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ি উপজেলার হালদা নদী ও ১৫টি খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে অনেক সড়ক।

বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দাঁতমারা, ভূজপুর, নারায়নহাট, পাইন্দং, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, কাঞ্চননগর, লেলাং, রোসাংগিরী, জাফতনগর, সমিতিরহাট, বক্তপুর, ধর্মপুর, সুন্দরপুর, নানুপুর, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়ন সহ ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

দাঁতমারা ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম জানান, ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে ফটিকছড়ি-হেঁয়াকো সড়কের শান্তিরহাট বিদ্যুৎ ষ্টেশন এলাকায় সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।

পাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সরোয়ার হোসেন ও ভূজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম তালুকদার জানান, হালদা নদীর বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে যায়।

কাঞ্চননগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন চৌধুরী কাতেব জানান, তাছাড়া উপজেলার হালদা নদী, ধুরুং, সর্তা, গজারিয়া, বারমাসিয়া, শোভনছড়ি, লেলাং, রক্তছড়ি, কালাপানিয়া, ফটিকছড়ি খাল ও কুতুবছড়ি খালের বাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।