ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধস ঠেকাতে প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধস ঠেকাতে প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা বক্তব্য রাখছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসন ও পাহাড়ধস ঠেকাতে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

‘জলাবদ্ধতা ও পাহাড় ধস’ শীর্ষক সেমিনারে সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে সেমিনারে আ জ ম নাছির বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রামের ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে।
দিন দিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নগরবাসী যেভাবে জলাবদ্ধতায় কষ্ট পাচ্ছে তা অবর্ণনীয়।
প্রকৌশলীরা ১৯৯৫ সালে সিডিএ প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান ও ২০১৬ সালে ওয়াসা প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলেছেন। এগুলো বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনীয় রিভাইসড করে যদি দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে নগরবাসী রক্ষা পাবে।
 
প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি আর সভা সেমিনারে সীমাবদ্ধ না রেখে আপনাদের সিদ্ধান্তগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন। তাহলে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কেননা, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত আন্তরিক। কারণ চট্টগ্রাম বন্দরনগরী ও বাণিজ্যিক রাজধানী। জলাবদ্ধতার কারণে শুধু চট্টগ্রাম নয়; বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমস্যা সমাধানের উপায় যথাযথভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হলে, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা থেকে দ্রুত রেহাই পাবে।
 
মেয়র আরও বলেন, আজকের বাস্তবতা হচ্ছে কত দ্রুত নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি দেয়া যায়। এজন্য চট্টগ্রাম নগরবাসীকে দ্রুত জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ দিতে হলে সিভিল সোসাইটিকে সাথে নিয়ে প্রকৌশলী সমাজকে আর বেশি জনমত সংগঠিত করতে হবে। আরো প্রকৌশলীদের কাজগুলো নীতি নির্ধারক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। নগরীর রাস্তাঘাট সম্পর্কিত যে সব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয় সেগুলো ওয়াসার সাথে সমন্বিত প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রহণ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধস রোধ করতে হলে ১৯৯৫ সালে প্রণিত মাস্টারপ্ল্যান রিভাইসড করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন না করলে নগরবাসীর দুর্ভোগ কমানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। মূল প্রবন্ধকার পাওয়ার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বিশ্বের বেশ কয়েকটি পাহাড়বেস্টিত দেশসমূহ পাহাড় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পাহাড়ে কিভাবে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তা তুলে আমাদের দেশেও পাহাড়কে রিসোর্স হিসেবে ব্যবহার করে ২০-২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
 
সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী এম. আলী আশরাফ, প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন এবং চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।
 
আইইবি’র চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামস্থ অনারারী কনসাল অব জাপান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। সেমিনারে আইইবি‘র চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাকাউন্ড অ্যান্ড এইচআরডি) প্রকৌশলী এম এ রশীদ, ভাইস-চেয়ারম্যান (এডমিন. প্রফেশ. অ্যান্ড এসডব্লিউ) প্রকৌশলী উদয় শেখর দত্ত বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময় : ২০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।