বৃষ্টি হলেই বেশিরভাগ মানুষ ছাতা ব্যবহার করেন। ফলে বৃষ্টির সময় ছাতা মেরামতের জন্য বেড়ে যায় গ্রাহকের সংখ্যা।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর চকবাজারের শাহেনশাহ মার্কেটের সামনে ছাতা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন আসলাম।
এরই ফাঁকে জানালেন, তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই তিনি ছাতা মেরামতের জন্য চট্টগ্রামে চলে এসেছেন। এছাড়া বছরের বাকি সময় গ্রামের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করেন।
আসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি হলেই ছাতা মেরামতের জন্য গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ে। নতুবা তেমন একটা আয় হয় না। বৃষ্টি থাকলে এক জায়গায় বসে থাকলেই গ্রাহকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দিনে ৭০ থেকে ৮০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার দেড়েক টাকা আয় করতে পারি। আর বৃষ্টি না হলে ছাতা মেরামতের জন্য মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হয়। তখন ৫০০ টাকাও আয় করতে পারি না।
‘বর্ষা মৌসুমে মানুষ ছাতা মেরামত করতে আসলেও অন্যসময়ে তেমন একটা আসে না। তাই বৃষ্টি হলেই খুশি লাগে। কেননা বৃষ্টিতে আমাদের আয় বেড়ে যায়। ’ যোগ করেন আসলাম
আসলামের কাছে ছাতা মেরামত করতে এসেছিলেন ব্যবসায়ী জাহেদ মোস্তফা। তিনি বলেন, তিন-চারদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাসায় থাকায় তিনটি ছাতার মধ্যে দুটোই নষ্ট হওয়ায় ঠিক করতে নিয়ে এলাম।
চকবাজার এলাকায় কোচিং করতে আসা সাইফুলও ভাঙ্গা ছাতা ঠিক করতে এসেছিলেন। সাইফুল জানান, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় বাসা থেকে ছাতা নিয়ে বের হয়েছিলাম। পথে হঠাৎ ছাতার একটি শিক ভেঙ্গে গেছে। তাই এখানে ঠিক করতে নিয়ে এসেছি। একটি শিক ঠিক করতেই ৪০ টাকা নিয়েছে। তবুও অনেক ভাল। কেননা এ মুহূর্তে নতুন ছাতা কেনাতো সম্ভব না।
ছাতার মেরামতকারীরা শিক ঠিক করতে নিচ্ছেন প্রতিটিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিকের সাথে লাগানো কাপড় সেলাই করতে ১০ থেকে ২০ টাকা এবং ছাতার বিভিন্ন অংশ ঠিক করতে নিচ্ছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে।
এদিকে বর্ষা মৌসুমে ছাতা মেরামতের পাশাপাশি নতুন ছাতা বিক্রিও বেড়েছে। দোকানিরাও বর্ষা মৌসুমের আগেই বিভিন্ন ডিজাইনের ছাতা বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। যা প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘন্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি