ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিআইইউতে অধ্যাপক আবদুল করিম স্মারক সেমিনার অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
সিআইইউতে অধ্যাপক আবদুল করিম স্মারক সেমিনার অনুষ্ঠিত সিআইইউতে অধ্যাপক আবদুল করিম স্মারক সেমিনার অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম: উপমহাদেশের বরেণ্য ইতিহাসবিদ, বাংলা মধ্যযুগের প্রবাদপ্রতিম ইতিহাসবেত্তা, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আবদুল করিম স্মরণে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেলে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সিআইইউ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান চিটাগং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিস (সিকাস) যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী।  

‘ড. আবদুল করিম এবং বাংলাদেশে ইতিহাসের প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন’ বিষয়ে এতে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিকাসের সদস্যসচিব ও গবেষক ড. শামসুল হোসেন এবং চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. মো. সাখাওয়াত হুসাইন।

 

চবি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বশির আহাম্মদ এবং ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।  

সিআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে ড. আবদুল করিমের অবদান স্মরণ করে বলেন, ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে ড. আবদুল করিম একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ইতিহাসের গতানুগতিক রাজনৈতিক ইতিহাস লেখার ধারা তথা রাজা-বাদশাহদের ইতিহাস লেখার ধারাকে ভেঙ্গে দিয়ে সামাজিক ইতিহাস রচনার ধারা সূচনা করেছিলেন। তার ইতিহাস চর্চায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ইতিহাসও উঠে এসেছে।  

সিকাসের সদস্যসচিব ও গবেষক ড. শামসুল হোসেন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে কয়জন গুণী পরিচিতি লাভ করেছিলেন তার মধ্যে ড. আবদুল করিম অন্যতম। মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস, স্থানীয় এবং ব্যাক্তি কেন্দ্রীক ইতিাহাস চর্চায় অধ্যাপক আবদুল করিমের অবদান অনেক।  

ড. আবদুল করিম এমন একজন ইতিহাসবিদ ছিলেন যিনি শুধু চেয়ারে বসে না থেকে মাঠে-ঘাটে চষে বেড়িয়েছেন ইতিহাসের উপাদান খোঁজার জন্য। তিনি পরিশ্রমী এবং একজন পন্ডিত হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন।  

চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. মো. সাখাওয়াত হুসাইন তার প্রবন্ধে ড. আবদুল করিমের গ্রন্থসমূহের বিস্তারিত আলোচনা করে বলেন, ড. আবদুল করিমের গবেষণায় বারভূঁইয়া হতে শুরু করে মুঘল সম্রাট শাহজাহান, নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ, মসলিন কাপড় বা বাংলায় ইংরেজের গোড়াপত্তন বিষয়ে সমসাময়িক কালের বহু অজানা বিষয় উঠে এসেছে। মুদ্রা, শিলালিপির পাঠোদ্ধারে তার ভূমিকার জন্য তিনি শিলালিপি বিশারদ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। মুঘল আমলের ইতিহাস চর্চাতেও তার অবদান রয়েছে।  

চবি ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ড. আবদুল করিম স্বাধীনভাবে ইতিহাস চর্চা করেছেন। তিনি রাজনৈতিক ধারা ভেঙ্গে সামাজিক ধারায় ইতিহাস চর্চার রীতি চালু করেন, যা পরবর্তীতে অনেকে অনুসরণ করেন।  

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চবি পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধী ভিক্ষু, সিআইইউর ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নুরুল আবসার নাহিদ, সিআইইউর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরী খালেদ, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ ইসহাক, সিআইইউর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, সিআইটিএস বিভাগের উপ পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সিআইইউর হিসাব বিভাগের উপ পরিচালক সালাহউদ্দীন মো. তারেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭ 

এমইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad