সদ্যপ্রয়াত মো.ইসহাক মিয়ার জানাজায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শোক জানিয়ে এসব কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম।
চট্টগ্রাম: ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ইসহাক মিয়ার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করেছেন। আওয়ামী লীগের ইতিহাসের, স্বাধীনতার ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস আর ইসহাক মিয়াদের রাজনীতির ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ইসহাক মিয়াদের মৃত্যু নেই। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, লাল-সবুজের পতাকা থাকবে ততদিন ইসহাক মিয়া বেঁচে থাকবেন। ’
সদ্যপ্রয়াত মো.ইসহাক মিয়ার জানাজায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শোক জানিয়ে এসব কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ইসহাক মিয়ার প্রথম দফা নামাজে জানাজা নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরি।
জানাজা শুরুর আগে ইসহাক মিয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, মানুষ জন্ম নিলেই তার মৃত্যু নির্ধারিত হয়ে যায়। আমাদের প্রবীণ জননেতা ইসহাক মিয়া চলে গেলেন। মানুষের আসা এবং যাওয়ার মধ্যে যে সময়টুকু সেই সময়ে মানুষের মন জয় করতে পারাটাই জীবনের সার্থকতা। ইসহাক মিয়া মানুষের মন জয় করতে পেরেছিলেন।
শ্রদ্ধা জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী এবং প্রয়াতের সন্তান মো.রেজোয়ান মিয়া।
জানাজায় রাজনীতিকদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা.আফছারুল আমিন, সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক ও বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজাম, জাসদ নেতা জসীম উদ্দিন বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীও জানাজায় অংশ নেন। তবে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানাজায় উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনি ছিলেন না।
এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের পক্ষে এনামুল হক শামীম প্রয়াতের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ফুলে ফুলে ঢেকে যায় প্রয়াত ইসহাক মিয়াকে বহনকারী কফিন।
এর আগে পুলিশের একটি চৌকস দল মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক মিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানান। এসময় মরদেহ জাতীয় পতাকায় ঢেকে দেয়া হয়।
খোরশেদ আলম সুজন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, জানাজা শেষে মরদেহ ইসহাক মিয়ার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুপুর ২টায় তার বাড়িতে আরেক দফা জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে নগরীর মেহেদিবাগে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই রাজনীতিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৭০ সালের গণপরিষদ সদস্য ইসহাক মিয়া ১৯৮৬ সালে বন্দর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি