সোমবার বন্দর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় বন্দর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংকট কোথায় তা চিহ্নিত করতে হবে। জনপ্রতিনিধি হয়েও ব্যবসায়ীদের ক্ষতগুলো আমাকে আহত করছে।
তিনি বলেন, বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা হিসেব করলে অন্তত আরও ১০০টি জেটি নির্মাণ হওয়া প্রয়োজন ছিল। অথচ স্বাধীনতার পর মাত্র সাতটি জেটি হয়েছে। আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে পুরো অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে না।
নতুন টার্মিনাল ও জেটি নির্মাণ করতে না পারায় সংকট তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাহাজ দাঁড়িয়ে থাকবে না কী করবে। জাহাজ থেকে নামিয়ে কন্টেইনার রাখার জায়গা নেই। ওভার ফ্লো ইয়ার্ড তৈরি করতে পারলে কিছুটা হলেও রফতানিকারকরা সুবিধা পাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, অতীতের দিকে যাব না। এখন কিভাবে সক্ষমতা বাড়াতে পারি সেটি মূল বিষয়। বন্দরে বর্তমান অবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমানে সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ জেটিতে ভিড়ানোর জন্য সাত দিন অপেক্ষা করছে। এটি আগে ১৭ থেকে ১৮ দিন ছিল। কনটেইনার জাহাজ দুই থেকে পাঁচদিন পর জেটিতে ভেড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
বিজিএমইএ’র বন্দর ও শিপিং বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বন্দরের সমস্যা হচ্ছে অবকাঠামোগত দুর্বলতা। জেটি, ইয়ার্ড ও যন্ত্রপাতি- এই তিনটি অবকাঠামো যদি বছরের পর বছর রিভিউ করতে না পারি তাহলে আগামী দিনে পোশাক খাত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাবে।
পতেঙ্গা টার্মিনাল ও বে-টার্মিনালের কাজ কখন শেষ হবে তা ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, না হলে ব্যবসা থেকে সরে যেতে চাই। এত বেশি পেইন নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করা সম্ভব না।
অফডক গুলোর সক্ষমতার বিষয়টি যাচাই না করে সব কনটেইনার অফডকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় বন্দরের ফটক বন্ধ করে দেওয়ার কারণে কনটেইনার শাট আউট করে জাহাজ চলে যায়, এটি আরেক সংকট তৈরি করবে। প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত বাস্তবভিত্তিক হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এমইউ/টিসি