ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ২৪ ঘণ্টা সচলে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ২৪ ঘণ্টা সচলে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সোমবার বন্দর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

স্বল্পতম সময়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ২০২০ সালের মধ্যে লালদিয়া টার্মিনাল এবং ২০২১ সালের মধ্যে বে-টার্মিনালের প্রথম ধাপের কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর জিসিবির কাজ শুরু করবো।

বেসরকারি ডিপোর সক্ষমতা বাড়িয়ে নির্দিষ্ট ৩৭ আইটেমের অতিরিক্ত পণ্য খালাস নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমদানিকারকের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্যোগ নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে জটমুক্ত রাখতে নীতিমালা বাস্তবায়নে এটা জরুরি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর থেকেই বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দর সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে সপ্তাহে সাত দিন চালু রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টা কাজের জন্য বিএসটিআই, ব্যাংক, কোয়ারেন্টাইনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোরও করণীয় রয়েছে মন্তব্য করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২৪ ঘণ্টা সবাই মিলে কাজ করবো। ২ দিনের মধ্যে এফসিএল কন্টেইনার খালাস নিতে হবে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতি কেনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫৫ ধরনের যন্ত্র কেনার অনুমতি পেয়েছি। এরমধ্যে ৮০ শতাংশ কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোও কেনা হবে। পাশাপাশি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। স্বল্প পরিসরে অ্যাপ্রেইজার শেড নির্মাণের জন্য ২ দিনের মধ্যে আদেশ দেওয়া হবে।

চলতি বছরের মধ্যে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজ শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্ধ থাকা ৪টি লাইটারেজ জেটিও চালু করবো। বন্দর অভ্যন্তরে ২৮ হাজার এফসিএল কন্টেইনার ফ্রি টাইমের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। স্ক্যানার মেশিন বাড়ানোর জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।

চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর টার্মিনালের পরিকল্পনা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। জাহাজ জট শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে পারলে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারবে।

মেট্টোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বন্দরের পরিবর্তে বেসরকারি ডিপোতে এখন ৩৭ ধরনের পণ্য খালাস বাধ্যতামূলক। বন্দরের ভেতরে কনটেইনার জট কমাতে এই সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। কাস্টমস’র স্ক্যানার বাড়াতে হবে।

বিজিএমইএ প্রথম সহসভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবালের ভূয়সী প্রশাংসা করেন। তিনি বলেন, বন্দরে এখন যে সমস্যা সেটি সমস্যা বলতে চাই না। কারণ সমস্যার সমাধানও আছে। যে কোনো কারণে হোক বন্দরে জাহাজ জট নজরে আসায় বন্দর ও কাস্টমস ২৪ ঘণ্টা সেবা চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।