সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি সহজীকরণ ও ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বন্দর-কাস্টম যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন সংক্রান্ত কোন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে সর্বোচ্চ এক সপ্তার বেশি ঝুলে থাকবে না জানিয়ে নৌ-সচিব বলেন, অতীতেও বন্দরের কাজ দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামীতে ১ সপ্তার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।
বন্দরের বর্তমান সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দরের ২৬ একর জায়গায় নতুন ইয়ার্ড করতে চাইলে আমরা সাত দিনের মধ্যে অনুমোদন দেব।
বেসরকারি ডিপোগুলোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অফডক থেকে খালাস নেওয়া পণ্যের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। মামলার কারণে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। এখন নতুন করে আবার চুক্তি হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।
ছয়টি কী-গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রয়োজনের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ যন্ত্রপাতি বিশ থাকবে। কারণ এখন দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন অচল থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। তাই কোন যন্ত্র নষ্ট হলে যাতে তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে লক্ষ পূরণে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
বন্দরের সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করতে প্রতি মাসে সভা করতে ‘বন্দর কো-অর্ডিনেশন কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দিয়ে সচিব বলেন, বন্দর-কাস্টমস এবং সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ কমিটি গঠন হবে। কমিটি কোথায় কি সমস্যা তা দেখবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এমইউ/টিসি