চারদিনের টানা বৃষ্টিতে এ প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার আরও দশটি গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর বলেন, ইউনিয়নের মাতবরপাড়া, হাজী মার্কেট, বকশিয়াঘোনা, উত্তর সুন্দরিপাড়া ও নতুনঘোনা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বকশিয়াঘোনা, বদিউদ্দিনপাড়া, নতুনঘোনা, মাতবরপাড়া ও সুন্দরীপাড়া এলাকার প্রায় ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম বলেন, সোনাইছড়ি, নাপিতখালী, নিন্তান্তঘোনা খালের বাঁধ ভেঙ্গে ও ঢলের পানিতে পুরো ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, সাগরের জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় পুরো ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, ইউনিয়নের ছিরাদিয়া, বিলহাছুরা, নন্দিরপাড়া, বলিরপাড়া, হরিনাফাড়ি ও মেহেরনামা এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। বেড়িবাঁধ উপচে মাতামুহুরী নদীর ঢলের পানি প্রবেশ করায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে ইউনিয়নের অর্ধেকাংশ তলিয়ে গিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, উজানটিয়া ইউনিয়নের রুপালিবাজার, টেকপাড়া এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় সার্বিক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম বলেন, উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ২৮১০ পরিবারের তালিকা জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। তাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘন্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
টিটি/আইএসএ/টিসি