সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে নগরীর মেহেদিবাগে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই রাজনীতিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুর খবর শুনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছিরউদ্দীন সহ নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান।
ইসহাক মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ফ্রান্স থেকে মোবাইলে ইসহাক মিয়ার ছেলের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান তিনি। এসময় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
ইসহাক মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি। শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেছেন, ইসহাক মিয়া একজন ত্যাগী ও নির্লোভ রাজনীতিবিদ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ভোলার নয়।
শোক জানিয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। শোক জানিয়েছেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফও।
এদিকে রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ইসহাক মিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে তার বাসায় ছুটে যান। এসময় তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এক শোকবার্তায় প্রয়াতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা গভীর শোক জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনও শোক জানিয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান শোক জানিয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছেন। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমও ইসহাক মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন শোক জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী এবং সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী এবং সদস্য আসিফ সিরাজ ও নওশের আলী খান প্রবীণ এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.নূরুন নেওয়াজ সেলিম এবং সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ শোকবার্তায় বলেছেন, ইসহাক মিয়ার মৃত্যুতে শুধু আওয়ামী লীগের ক্ষতি হয়নি। চট্টগ্রামসহ এই অঞ্চলের রাজনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
১৯৭০ সালের গণপরিষদ সদস্য ইসহাক মিয়া সর্বশেষ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি বন্দর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি