এছাড়া ১৫ বছর আগে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার আরও দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নূরে আলম এই রায় দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী।
দণ্ডিতরা হলেন-সোবহান, মোশাররফ, সেলিম, নূর হোসেন, আবু তাহের, রফিক মাস্টার, জাফর এবং আব্দুল জব্বার। খালাস পাওয়া দুজন হলেন সাহাব মিয়া এবং শফি মিয়া।
দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে ৫ জন জামিনে গিয়ে পলাতক হয়ে গেছেন। বাকি তিনজন ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পিপি লোকমান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কৃষি খামারের জমি নিয়ে মিরসরাই উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভবানী গ্রামের প্রয়াত আলী আকবরের পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০০২ সালের ৬ জুলাই রাতে আলী আকবরের ঘরে আগুন দেয় তারা। এসময় প্রয়াত আকবরের স্ত্রী নূরজাহান বেগম, তার অবিবাহিত মেয়ে মর্জিনা বেগম এবং নূরজাহানের বোনের ছেলে শাহজাহান ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন।
আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর নূরজাহান বের হতে পারলেও মর্জিনা এবং শাহজাহান আটকা পড়েন। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর পাশাপাশি তাদের দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ভোরে মর্জিনাকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৮ জুলাই নূরজাহান বেগম বাদি হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ৭ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০০৬ সালের ২ মে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৩৬, ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণে বাদি ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আটজনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি