সোমবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া এই আদেশ দিয়েছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
গত ২০ জুলাই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে পিবিআই।
জানতে চাইলে সন্তোষ কুমার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, উইলসন সিং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর গতকাল (রোববার) তাকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। রাতে আমরা তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছি।
একই মামলায় আতিফ শেখের আরেক সহপাঠী নিরাজ গুরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পিবিআই।
গত ১৪ জুলাই গভীর রাতে আকবর শাহ থানার আব্দুল হামিদ সড়কের ছয় তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আতিফ শেখ এবং আহত অবস্থায় উইলসন সিংকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে আতিফ শেখকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আতিফ শেখ ও উইলসন সিং ইউএসটিসির এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। একই বাসায় তাদের সঙ্গে ইউএসটিসিতে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থী নিরাজ গুরু ও তার স্ত্রীসহ মোট পাঁচজন থাকতেন।
হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর মঙ্গলবার বিকেলে আতিফের বাবা আব্দুল খালেক আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে অভিযুক্ত করা না হলেও নিরাজ গুরুসহ আটজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন বাদি। মামলা দায়েরের পর ১৯ জুলাই নিরাজকে আটক করে আকবর শাহ থানা পুলিশ। ২৩ জুলাই আটক করা হয়েছে উইলসন সিংকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি