সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে নগরীর মেহেদিবাগে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই রাজনীতিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৭০ সালের গণপরিষদ সদস্য ইসহাক মিয়া সর্বশেষ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতা ইসহাক মিয়া আর নেই।
ইসহাক মিয়ার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তার বাসা নগরীর আগ্রাবাদের হাজীপাড়া এলাকায়। প্রবীণ এই নেতা স্ত্রী, তিন ছেলে ও সাত মেয়ে রেখে গেছেন বলে জানিয়েছেন ফারুক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য ইসহাক মিয়া চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ ছিলেন। বার্ধক্যেও রাজনীতির মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি। আঞ্চলিক ও সাধু ভাষার মিশ্রণে ইসহাক মিয়ার রসমিশ্রিত বক্তব্য উজ্জীবিত করতো নেতাকর্মীদের।
মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকা পালন করা ইসহাক মিয়ার বাংলাদেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে অবদান আছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে থাকার সময় হরতাল-অবরোধে মুজিব কোট গায়ে দিয়ে, চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে মিছিলের সামনের সারিতে থাকতেন ইসহাক মিয়া। দল ক্ষমতায় আসার পরও সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থনে গঠিত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ইসহাক মিয়া।
ত্যাগী ও নির্লোভ রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত ইসহাক মিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে গেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এছাড়া দলের নেতাকর্মীরাও হাসপাতালে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন।
শফিকুল ইসলাম ফারুক বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ইসহাক মিয়ার মরদেহ প্রথমে তার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে প্রয়াতের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জানাজায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী শামীম ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল থাকবেন বলে জানিয়েছেন ফারুক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি