রোববার (২৩ জুলাই) মুফতি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দির পর একই আদালতে শিশুটিকে জিম্মায় নেয়ার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
চাচা সেলিমের আইনজীবী মাইনুল হোসেন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, জবানবন্দিতে মুফতি জানিয়েছে, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। সে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়ে গিয়েছিল।
আইনজীবী জানান, শিশুটির মা এবং চাচা দুজনই তাকে জিম্মায় নেয়ার আবেদন করেন। এসময় আদালত শিশুটির মতামত জানতে চান। তখন শিশু মুফতি বলেন, সে মায়ের কাছে যেতে চায় না। চাচার কাছে যেতে তার আপত্তি নেই।
এর আগে নিখোঁজের ১৩ দিন পর শনিবার মুফতিকে উদ্ধার করে নগরীর বন্দর থানা পুলিশ। উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, মুফতি তার মায়ের অতিরিক্ত শাসন ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ঘর থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
নগরীর বন্দর থানার ধোপারদিঘির পাড় এলাকার উকিল বাড়ির বাসিন্দা প্রয়াত আইনজীবী আবদুল করিমের ছেলে মুফতি। ২০০৯ সালে আবদুল করিম মারা যান। আইনজীবীর স্ত্রী রোকেয়া বেগমের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ আছে বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।
১০ জুলাই ছেলে নিখোঁজের পর গত ১২ জুলাই বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন রোকেয়া বেগম।
গত ১৮ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে চিঠি দিয়ে মুফতিকে উদ্ধারে প্রশাসনকে আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
আরডিজি/টিসি