চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবছর এইচএসসিতে পাসের হার ৬১ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯১ জন।
এদিকে শিক্ষাবোর্ডের তালিকায় শীর্ষে থাকা চট্টগ্রামে সরকারি কলেজে এবার পাসের হার ৯৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
ভালো ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জেসমিন আকতার বাংলানিউজকে জানান, বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ মিলিয়ে এবার ৩৯১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৬ জন এবং মানবিকে ১৫ জন। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা খুব তৎপর ছিলেন। অভিভাবকরাও তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে যত্নবান ছিলেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো লেখাপড়া করেছে বলেই ভালো ফলাফল করতে পেরেছে। সর্বোপরি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করা সম্ভব হয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে এবার পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ১ হাজার ৫৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৪৫৭ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৮ জন।
ভালো ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অঞ্জন কুমার নন্দী বাংলানিউজকে বলেন, ‘একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রতি ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য কলেজের একজন করে শিক্ষক কাউন্সিলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তারা সার্বক্ষণিক শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতেন। এছাড়াও নিয়মিত টিউটোরিয়াল ও বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়া হতো। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত ভূমিকায় এ ফলাফল করা সম্ভব হয়েছে। বিজ্ঞানে ২১৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৪ জন এবং মানবিকে ৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে কলেজের শিক্ষার্থীরা আরও জিপিএ-৫ পেলে ভালো লাগতো। ’
বোর্ডের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে এবার পাসের হার ৯৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ৭২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭১৩ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২১ জন।
একইভাবে বোর্ডের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন যথাক্রমে সরকারি সিটি কলেজ। ১ হাজার ৯৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার এ কলেজে পাস করেছে ১ হাজার ৭১৪ জন। এরমধ্যে জিপিএ পেয়েছে ১০১ জন।
সরকারি কমার্স কলেজে এবার পাসের হার ৯৯ দশমিক ২১ শতাংশ। ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭৫৮ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯ জন।
ফৌজদারহাট ক্যাডেটে কলেজে এবার পাসের হার শতভাগ। ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৫ জন।
চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে এবার পাসের হার ৯৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ৯৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৯৯ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮ জন।
কক্সবাজার সরকারি কলেজে এবার পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৮৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮৩৩ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ জন।
হাজেরা-তজু ডিগ্রি কলেজে এবার পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ১ হাজার ৪৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৩২৭ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ জন।
নৌ-বাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার পাসের হার ৯৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৬৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬১৩ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন।
ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার পাসের হার ৯৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। ২০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২০৬ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন।
পটিয়া সরকারি কলেজে এবার পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭১৩ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন।
ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার পাসের হার ৯৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। ১০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০২ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন।
বিএএফ শাহীন কলেজে এবার পাসের হার ৯৬ দশমিক ০৪ শতাংশ। ৫০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৮৫ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন।
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ৫৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫০৬ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি