ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাশেদ রউফ সম্মাননা স্মারক প্রকাশিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
রাশেদ রউফ সম্মাননা স্মারক প্রকাশিত রাশেদ রউফ সম্মাননা স্মারক ‘আলোকের এই ঝরনাধারা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠান

চট্টগ্রাম: শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া রাশেদ রউফ সম্মাননা স্মারক ‘আলোকের এই ঝরনাধারা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়ে গেল ছোটদের বইমেলা ও লেখক মেলায়।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেল পাঁচটায় প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চ্যানেল আইয়ের জেনারেল ম্যানেজার শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম।   

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমি ও স্বকাল শিশুসাহিত্য সংসদের উদ্যোগে তিন দিনের এ মেলার উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

আমীরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম শিশুসাহিত্যের একটি ভালোবাসার স্থান। নানা আয়োজনে, পরিকল্পনায়, বইমেলায়, সাহিত্য আড্ডায়, প্রকাশনার মাধ্যমে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ এবং উজ্জীবিত করে রেখেছেন রাশেদ রউফ।

তিনি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে আমাদের শিশুসাহিত্যিকদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালন করছেন রাশেদ রউফ। এর প্রমাণ বহন করে ছোটদের বইমেলা, ছোটদের বইয়ের লেখকমেলা। এই মেলায় সারা দেশের শিশুসাহিত্যিকদের সম্মিলন ঘটেছে।

লেখিকা ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক, শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন, ছড়াকার আসলাম সানী, কথাসাহিত্যিক মাহফুজুর রহমান, শিশুসাহিত্যক এমরান চৌধুরী, প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক জিন্নাহ চৌধুরী, বাচিক শিল্পী আয়েশা হক শিমু, আলোকের ঝরনাধারা সংকলনের সম্পাদক শিবুকান্তি দাশ ও মালেক মাহমুদ।

মেলার আহ্বায়ক কবি অরুণ শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রাশেদ রউফকে সম্মাননা স্মারক নিবেদন করেন শিশুসাহিত্যিক আবুল কালাম বেলাল। রাশেদ রউফের কবিতা আবৃত্তি করেন অঞ্চল চৌধুরী।

শিশুসাহিত্যক আমীরুল ইসলাম বলেন, রাশেদ রউফ সাংগঠনিক দক্ষতায় অনন্য এক মানুষ। সবাইকে নিয়ে তিনি ভাবেন-চিন্তা করেন। আলোকের ঝরনাধারায় সংকলনে তাকে নিয়ে যারা লিখেছেন সবাই আন্তরিকভাবেই লিখেছেন। বলা যায় মুখোশধারীদের লেখা নেই এ সংকলনে। তিনি শিশুসাহিত্যের একজন সজ্জ্বন ব্যক্তি- রেনেসাঁমানব। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।     

রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক বলেন, রাশেদ রউফ শিল্পসাহিত্যের একজন সফল মানুষ। তিনি মানুষকে আলোকিত করতে, মানুষকে সম্মানিত করতে সমসময় সচেষ্ট থাকেন। তিনি কখনো নিজেকে নিয়ে ভাবেন না। অন্যকে আলোকিত করতে গিয়ে তিনি নিজেই আজ আলোকিত হয়েছেন। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়ে শুধু নিজে ধন্য হননি তিনি শিশুসাহিত্যকে ধন্য করেছেন।

ছড়াকার আসলাম সানী বলেন, রাশেদ রউফ তার কর্মে-সাংগঠনিক দক্ষতায় এবং মানবীয় গুণাবলিতে একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি আমাদের শিশুসাহিত্যের গৌরব-আমাদের বাংলা সাহিত্যের গৌরব।

ফারুক হোসেন বলেন, রাশেদ রউফ শুধু চট্টগ্রামের নন সারা দেশের। তিনি আমাদের সম্পদ। তিনি অন্যের কর্মকে তুলে ধরেন-সম্মানিত করেন।

আনোয়ারা আলম বলেন, সততা রাশেদ রউফের একটি বড় গুণ। তিনি আপাদমস্তক একজন শিশুসাহিত্যিক। তিনি তরুণদের স্বপ্ন দেখান, লেখালেখিতে উজ্জীবিত করেন।

অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রাশেদ রউফ বলেন, আলোকের ঝরনাধারা সংকলনে আমাকে নিয়ে যারা লিখেছেন তারা আমার প্রতি নিতান্তই ভালোবাসার বহির্প্রকাশ হিসেবে লিখেছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ জানাই।

‘চট্টগ্রামে শিশুসাহিত্য চর্চা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। আমাদের মধ্যে ঐক্য রয়েছে। তিন দিনের ছোটদের বইমেলা, ছোটদের বইয়ের লেখকমেলা সেই ঐক্যের ফসল। ’ যোগ করেন রাশেদ রউফ।         

এরপর ছিল সমকালীন শিশুসাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ে সেমিনার। শিশুসাহিত্যিক মনি হায়দারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক ছিলেন শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন, মাহফুজুর রহমান, কথাসাহিত্যিক মোস্তফা হোসেইন, গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, পাশা মোস্তাফা কামাল ও জসীম মেহবুব।

বিকেল সাড়ে তিনটায় মেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন গল্পকার দীপক বড়ুয়া। বিচারক ছিলেন প্রফেসর রীতা দত্ত ও ফজল হোসেন।

বৈরী আবহাওয়ায়ও জমজমাট ছোটদের বইমেলা

'৩৭ বছর শিশুসাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরি করেছি'

বাংলাদেশ সময়: ২২৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।