মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টায় লাগানো হবে চারাগুলো। যেগুলো বড় হয়ে আমাদের অক্সিজেন দেবে, ফল দেবে, ছায়া দেবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচাবে।
২০টি ফলের চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে জাতীয় ফল কাঁঠাল, আম, জাম, পেয়ারা, বেল, জলপাই, আমলকী, হরিতকী, লিচু, মাল্টা, খেজুর, ডালিম, সফেদা, লেবু, বাতাবি লেবু, কমলা, তেঁতুল, আতা, কাঠবাদাম ও কামরাঙা। উত্তর রাউজান ও দক্ষিণ রাউজানের দুটি স্কুল মাঠে মজুদ করা হয়েছে চারাগুলো। এর মধ্যে রাউজান আরআরএসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আড়াই লাখ এবং রাউজান-নোয়াপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুই লাখ চারা রাখা হয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) উত্তরে ও রোববার (২৩ জুলাই) দক্ষিণে চারাগুলো বিতরণ করা হবে। একটি পৌরসভাসহ মোট ১৫টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৩০ হাজার করে চারা বিতরণ করা হবে।
রাউজান উপজেলাধীন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ৮৪ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ একযোগে এক ঘণ্টার মধ্যে এসব চারা রোপণ করবেন। এ কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণের ওপর দেশবাসীকে সার্বক্ষণিক উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাউজানকে দেশের অন্যতম মডেল উপজেলা করাই আমার স্বপ্ন। তারই ধারাবাহিকতায় ফলদ বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে একদিকে পারিবারিকভাবে স্বাবলম্বী হবে, অন্যদিকে রাউজানকে সবুজায়নে পরিণত করে এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
তিনি বলেন, মানবদেহের জন্য উপকারী পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এসব বৃক্ষের ফল খেয়ে মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে এবং একদিন বাড়তি ফল বিক্রি করে পরিবারেও অর্থের জোগান দিতে পারবে।
তিনি বলেন, রেকর্ড সৃষ্টি করার জন্য নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি এ ধরনের ভালো কাজগুলো নিয়মিত করে যাচ্ছি। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে নিরাপদ ও দূষণমুক্ত রাখতেও আমি প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছি। রাউজানের প্রতিটি পুকুর-জলাশয়ে নিয়মিত মাছের পোনা ছেড়ে আসছি বহু বছর ধরে। ১৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন স্কুল ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
এআর/টিসি