ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪ লাখ ৭০ হাজার তরুণ প্রতি বছর চাকরি পাচ্ছেন

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
৪ লাখ ৭০ হাজার তরুণ প্রতি বছর চাকরি পাচ্ছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) আয়োজিত সেমিনার

চট্টগ্রাম: সরকার প্রতি বছর ২০ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার কথা জানিয়েছিল উল্লেখ করে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের অ্যাডভাইজার (সিইও) মাসুদ খান বলেছেন, প্রতি বছর দেশে মাত্র ৪ লাখ ৭০ হাজার তরুণ-তরুণী চাকরি খুঁজে পাচ্ছেন।

এ অবস্থায় দেশের মূল বাজেটে বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে অবশ্যই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা শেষ করে স্বাবলম্বী হতে গিয়েও অনেকে ব্যাংক থেকে নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ঋণ পাচ্ছেন না। গার্মেন্ট শিল্পে তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে সরকারকেই নানামুখী উদ্যোগ নিতে হবে।

চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) আয়োজিত  ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনারে এসব কথা বলেন মাসুদ খান।

তিনি বলেন, একটি দেশ এগিয়ে যেতে হলে তার আমদানি ও রপ্তানির চিত্র আশানুরুপ হতে হবে।

গত ১০ মাসে দেশে রপ্তানির চিত্র ছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ শতাংশ।

বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে নগরীর নাসিরাবাদের মোজাফফরনগরে ইডিইউর স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাড়াও অর্থনীতিবিদ, বিবিএ, এমবিএ ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মূল বক্তার বক্তব্যে মাসুদ খান বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, গার্মেন্ট শিল্পে ধস, আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দাভাবের কারণে বাংলাদেশ অনেকখানি পিছিয়ে গেছে। তবে আমদানি চিত্রের কিছুটা উন্নতি হলেও বেসরকারি খাতে নানা জটিলতা এখনো রয়ে গেছে।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন, রাজস্ব আহরণ, ভ্যাট আইন কার্যকর করা, রপ্তানি বাড়ানো, ঘাটতি মেটানো, রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানো নতুন বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ।  

ইডিইউর অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর সামস-উদ-দোহা, স্কুল অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অ্যাডভাইজার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন ও স্বাগত বক্তব্য দেন ডিরেক্টর অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামস্ ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মোহাম্মদ রকিবুল কবীর।

প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, আমরা মেগা প্রকল্প নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এসব মেগা প্রকল্প শুনতে ভালো লাগলেও প্রকৃতপক্ষে প্রকল্পগুলোর অধিকাংশই জনস্বার্থে কোনো কাজে আসবে কি না তা নিয়ে সবাই সন্দিহান।

তিনি বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন।

উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া, এমবিএর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. আসাদুজ্জামান, অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর তোফাতুন নেসা চৌধুরী, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের লেকচারার অনন্যা নন্দী। সঞ্চালনায় ছিলেন স্কুল অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লেকচারার রুবিনা ইয়াসমিন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।