বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর তিন আসামিকে জামিনের আদেশ দিয়েছেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা দীপেন দাশগুপ্ত বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ইউসুফ আলী মৃধাকে জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে আদালত দীর্ঘ কারাবাস ও প্রথম দফায় দাখিল করা অভিযোগপত্রে বাদ যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জামিন পেলেও আসামিরা মুক্ত হচ্ছেন না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে নিয়োগে দুর্নীতির সাতটি মামলার এজাহারে নাম থাকলেও দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগপত্রে মৃধার নাম বাদ দিয়েছিল। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি এই সাত মামলার নথি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে ফেরত পাঠান। এরপর চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আবারও মৃধাকে অভিযুক্ত করে সাতটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে দুদক।
সাতটি মামলা কার্পেন্টার, সিনিয়র ডেটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, গুডস সহকারি, রেকর্ড কিপার, ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস, শরীরচর্চা শিক্ষক ও রেলওয়ের আদালত পরিদর্শক পদে নিয়োগে অনিয়ম, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হয়েছিল।
এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের আবেদন জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক এই তিন কর্মকর্তা।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকায় বিজিবি হেডকোয়ার্টারে টাকার বস্তাসহ আটক হন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ফারুক। এই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
দুদক তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তকালীন মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধারও সম্পৃক্ততা পায়। রেলের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়মের তথ্য পায় দুদক।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালী থানায় ইউসুফ আলী মৃধাসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ১৩টি দুর্নীতির মামলা করে দুদক।
২০১২ সাল থেকে দুই বছর পলাতক ছিলেন ইউসুফ আলী মৃধা। পরে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সেই থেকে কারাগারে আছেন মৃধা।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গত বছরের ১৬ আগস্ট মৃধাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ফুয়েল চেকার ও সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মৃধাকে দুই বছর করে চার বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
আরডিজি/টিসি