সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাল খালাসে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে জাহাজ থেকে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) জেটিতে প্রবেশ করে ভিয়েতনামের ‘এমভি ভিসাই ভিসিটি’ নামের জাহাজটি।
জাহাজ থেকে চাল খালাসের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখে খাদ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ হলেও বৃষ্টির কারণে এখনও তা শুরু করা সম্ভব হয়নি।
খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টি কমলে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে খালাস কার্যক্রম শুরু হতে পারে। অন্যথায় তা আরও পিছিয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে এম ভিভিসাই ভিসিটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইউনি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বহির্নোঙ্গরে লাইটারিং কাজ শেষে সকালে বন্দরের এনসিটি জেটিতে ভিড়েছে জাহাজটি। তবে বৃষ্টির কারণে খালাস কার্যক্রম এখনও করা যায়নি।
‘আবহাওয়া ভালো হলে এ কার্যক্রম শুরু হবে। ’
বন্দর সূত্র জানায়, ভিয়েতনাম থেকে ২০ হাজার টন চাল নিয়ে এমভি ভিসাই ভিসিটি গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছে। কিন্তু লাইটার জাহাজ জটিলতায় চাল খালাসের কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। পরে ১৮ জুলাই (মঙ্গলবার) ও ১৯ জুলাই (বুধবার) লাইটার জাহাজে আড়াই হাজার টন চাল খালাস করা হয়।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় জেটিতে ভিড়ছে না ভিয়েতনামের চালের জাহাজ
এদিকে গত ১৮ জুলাই (সোমবার) আরও ২৭ হাজার টন চাল নিয়ে বহির্নোঙ্গরে পৌঁছেছে এমভি প্যাক্স নামে আরেকটি জাহাজ।
ওই জাহাজ থেকে চালের নমুনা উত্তোলন করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর কাস্টসম শুল্ক আদায় করে খালাস কার্যক্রম শুরু করবে খাদ্য অধিদফতর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমইউ/এমএ