ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ত্রিপুরাপাড়ায় প্রথম টিকা পেল ১১ মাসের সাজু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
ত্রিপুরাপাড়ায় প্রথম টিকা পেল ১১ মাসের সাজু সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরাপাড়ায় শুরু হলো বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: ১১ মাস বয়সী সাজুকে দিয়েই সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরাপাড়ায় শুরু হলো বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম। প্রথম দিন ছয়টি শিশু ও দুই নারীকে টিকা দেওয়া হয়।

বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে হামের লক্ষণ, অপুষ্টি ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই এসব শিশুদের টিকা দেওয়া হয়। এ সময় নতুন স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ছিলেন সন্দ্বীপের দুর্গম চরাঞ্চলে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ পাওয়া পুরোনো স্বাস্থ্যকর্মীরাও।

যাদের গাফিলতি ও অবহেলায় ঝুঁকিতে পড়েছিল শ’খানেক শিশুর জীবন।  

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ডের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়ে বদলির আদেশ পাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে এবং লাইন ডাইরেক্টর এমএনসিএন্ডএএইচ ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সরকার পরামর্শে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী মধ্যম সোনাইছড়ির ত্রিপুরা পাড়ার বীরেন্দ্র ত্রিপুরার বাড়িতে একটি টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এখানে এক বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চলবে, পাশাপাশি ১৫-৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের ধনুষ্টংকার টিকা দেওয়া হবে। উদ্বোধনী দিনে এ কেন্দ্রে চার শিশুকে হামসহ অন্যান্য টিকা এবং এক নারীকে ধনুষ্টংকারের টিকা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া দক্ষিণ সোনাইছড়ির মঙ্গা রাম ত্রিপুরার বাড়িতে আরেকটি অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন সীতাকুণ্ড উপজেলার ইউএইচএন্ডএফপিও ডা. এসএম নুরুল করিম। এখানে দুটি শিশু ও এক নারীকে টিকা দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন বাংলানিউজকে জানান, দুই পাহাড়ে দুই অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে  সপ্তাহে এক দিন করে স্যাটেলাইট স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে দুইটি পাহাড়ের মাঝামাঝি অতি দ্রুত একটি অস্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র করার প্রক্রিয়া চলছে। এখানকার শিশুদের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আইপিএইচএন এবং ইউনিসেফ বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যে শিশুরা হামে আক্রান্ত হয়নি তাদের শারীরিক অবস্থা সন্তোষজনক হলে তাদের হামের টিকা (ওআরআই) দেওয়া যেতে পারে বলে মত দেন  ত্রিপুরাপাড়ায় উপস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট (হাম) ডা. চিরঞ্জিত দাশ। যে শিশুরা হামে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছে তাদের তিন সপ্তাহ অন্য ছেলেমেয়েদের সাথে না মিশে আলাদা থাকতে বলা হয়েছে।  

ত্রিপুরাপাড়া থেকে হাম আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিশুস্বাস্থ্য বিভাগে ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে নয়জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি সংযুক্ত সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার ছাড়পত্র দেওয়া হয় ২০ জনকে। বর্তমানে চমেকে ৫৭ এবং বিআইটিআইডিতে ৮ শিশু ভর্তি আছে।  

৩০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি যাচ্ছে সেই ত্রিপুরাপাড়ায়

সেই অজ্ঞাত রোগ ছিল 'হাম'

'মারাত্মক অপুষ্টির সঙ্গে সংক্রমণ, দুই শিশু ঝুঁকিতে'

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ

সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত রোগে একদিনে চার শিশুর মৃত্যু

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।