ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনের পর এসডিজি অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়্যারে মায়াউদোন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক সাথে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বিজনেস কাউন্সিলের মাধ্যমে বাংলাদেশে আরও উন্নয়ন সম্ভব হবে। হরাইজন ২০২০ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৮০ বিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন করছে।

দেশের বিভিন্ন কোম্পানি, এনজিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহী গবেষকরা নতুন নতুন পণ্য ও সেবা উৎপাদনের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে সক্ষম হবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।  

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম চেম্বারে অনুষ্ঠিত ‘ইইউ হরাইজন ২০২০: অপরচ্যুনিটিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চট্টগ্রাম চেম্বার ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, মৎস্য চাষ, পানি সম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জ্বালানী খাতে গবেষণার জন্য অর্থায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৫৫ শতাংশ ইউরোপ থেকে আসে। জিএসপি সুবিধার কারণে আমরা এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি রপ্তানিকারক দেশ। ট্রেড পলিসি নির্ধারণ, কর্মদক্ষ ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অবদান রয়েছে।

হরাইজন ২০২০ এর মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত গবেষণা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন যা পক্ষান্তরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জীবনমান উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।   

চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, চুয়েট’র ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ, তুর্কির অনারারী কনস্যুল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, জাপানের অনারারী কনস্যুল জেনারেল মো. নুরুল ইসলাম, ইতালীর অনারারী কনস্যুল মীর্জা সালমান ইস্পাহানী, ফিলিপিনস্’র অনারারী কনস্যুল মোহাম্মদ এ আউয়াল, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারী কনস্যুল মো. সোলায়মান আলম শেঠ, চেম্বার পরিচালক এ কে এম আক্তার হোসেন, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোহাম্মদ হাবিবুল হক, এম এ মোতালেব, মো. জহুরুল আলম, মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবর), ছৈয়দ ছগীর আহমদ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. জাহেদুল হক, মো. শাহরিয়ার জাহান ও মো. আবদুল মান্নান সোহেল,  সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ ছালাম, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, হাবিব মহিউদ্দিন, সোনালী ব্যাংকের জিএম আলী কাইয়ুম, এ্যাব্সেটা হেড অব মার্কেটিং এর নীল রতন দাশগুপ্ত, চৌধুরী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’র পরিচালক মো. ইউছুপ চৌধুরী, আলম বিজনেস কর্পোরেশন’র জিএম মো. হাবিবউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।