এদিকে অভিযানের খবরে মামলা, জেল, জরিমানা এড়াতে বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে বাসশূন্য হয়ে পড়ে নগরী। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গণপরিবহনের যাত্রীরা।
বুধবার সকালে নগরীতে বড় বাস চলাচল করতে দেখা না গেলেও কিছু সংখ্যক মিনিবাস, টেম্পু, লেগুনা, সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে।
আহমদ কবির নামে নগরীর মুসলিম হাইস্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাদুরতলা থেকে প্রতিদিনের মতো ছেলেকে নিয়ে বের হলাম। প্রায় পৌনে একঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি, কোন বাস পাচ্ছি না।
অন্যদিন তো এরকম হয় না। আজকে হঠাৎ বাস চলছে না। বৃষ্টির কারণে কোন রিকশাও যাচ্ছে না। ছেলের চলছে পরীক্ষা। সমস্যায় পড়ে গেলাম। ’
হঠাৎ পরিবহন সংকটের কারণে একইভাবে সিটি কলেজে ডিগ্রির মিটটার্ম পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া মাহমুদও সঠিক সময়ে কলেজে পৌঁছাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযানের খবর পেয়ে ১ নম্বর রোডের (বহদ্দারহাট থেকে নিউমার্কেট) একটি বাস দ্রুতগতিতে চকবাজারের দিকে যাচ্ছিল।
এসময় বাসচালক রতন জানান, মঙ্গলবার প্রায় ২ শতাধিক গাড়িকে মামলা দিয়েছে এবং আটকে রেখেছে। শুনলাম, আজকেও অভিযান চালাচ্ছে। তাই গাড়ি গ্যারেজে ঢুকিয়ে রাখতে যাচ্ছি। অভিযান শেষ হলে গাড়ি চালাবো।
মুরাদপুর থেকে ফটিকছড়িতে যাওয়া নিপু নামে এক বেসরকারি কলেজের শিক্ষিকা জানান, শুনেছি ফিটনেসবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই খবরে সড়কে সব বাস উধাও হয়ে গেছে। মুরাদপুরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে কোন বাস পাইনি। আমরা সাধারণ যাত্রীরা পড়ে গেলাম দুর্ভোগে। সড়কে কেন? টার্মিনালে গিয়ে অভিযান চালানো যায় না?
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে জানান, গাড়ির ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন, রোড পারমিট, ইন্সুরেন্সসহ পরিবহনে শৃঙ্খলা বাড়াতে অভিযান চলছে। মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান ২২ জুলাই পর্যন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি