ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই অজ্ঞাত রোগ ছিল ‘হাম’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
সেই অজ্ঞাত রোগ ছিল ‘হাম’ সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়ার সেই অজ্ঞাত রোগ ছিল ‘হাম’।

চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়ার সেই অজ্ঞাত রোগ ছিল ‘হাম’। আক্রান্ত রোগীদের রক্ত, মুখের লালা, নাকের পানিসহ সংগৃহীত বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা মারা গেছে তথ্য দিয়েছেন। হামের জীবাণুর কারণেই শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি ত্রিপুরা পাড়ায় চার দিনে নয় শিশুসহ মোট ১১ শিশুর মৃত্যু হয়। আক্রান্ত হয় আর প্রায় ৮৬ জন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৯ নম্বর শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, সীতাকুণ্ড থেকে অসুস্থ শিশুদের আনার পর আমরা তাদের ত্বক, লক্ষণ ইত্যাদি দেখে ধারণা করেছিলাম হাম। কিন্তু রক্ত ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হতে পারিনি। হামে আক্রান্ত শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টি, অপচিকিৎসা-কুসংস্কারের শিকার হয়ে শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি ঘটেছিল। নিউমোনিয়াসহ নানান জটিলতা দেখা দিয়েছিল। শিশুর মা-বাবারাও জানিয়েছিল তারা কখনো সন্তানদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যায়নি। এমনকি রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক বা সরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা নেননি।    

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে সীতাকুণ্ড থেকে ৫৪ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের যতটুকু সম্ভব আলাদা রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তারা আশঙ্কামুক্ত, সবাই সুস্থ আছে। কেউ মারা যায়নি। যেহেতু ওয়ার্ডের অন্য শিশুদের হামের টিকা দেওয়া আছে তাই সংক্রণের ঝুঁকি নেই।

'মারাত্মক অপুষ্টির সঙ্গে সংক্রমণ, দুই শিশু ঝুঁকিতে'

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ

সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত রোগে একদিনে চার শিশুর মৃত্যু

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।