ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের নির্দেশ মেয়রের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের নির্দেশ মেয়রের নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর চিত্র

চট্টগ্রাম: ১৫ দিনের মধ্যে নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর খানাখন্দ সংস্কারের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

মেয়র বলেন, সাধারণ জনগণ যেকোনো ভোগান্তির জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়ী করে থাকে। তাই সিডিএ, ওয়াসা, গ্যাস কোম্পানি ও টিঅ্যান্ডটিসহ সেবায় নিয়োজিত সব সরকারি সংস্থার সাথে সমন্বয় করে নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে চসিককে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় নিয়োজিত থাকতে হবে।

সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে নগরভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে প্রকৌশল বিভাগের ১৬ তম সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ।

 

মেয়র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তগুলোর দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং সব উন্নয়নকাজের ডিপিপি তৈরি করে প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পেশ করার নির্দেশ দেন।

মেয়র বলেন, সেবায় নিয়োজিত সব সংস্থাকে চিঠিপত্রের মাধ্যমে এবং সরাসরি যোগাযোগ করে সমন্বয় করার দায়িত্ব প্রকৌশল বিভাগকে পালন করতে হবে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা ছাড়াও একটি মহল চসিকের সেবাধর্মী কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়ে থাকে। তারা নিজেদের সমস্যা আড়াল করে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বাহবা অর্জন করার প্রয়াসে লিপ্ত থাকে। এসব প্রবণতা দৃশ্যমান থাকলেও চসিক ধৈর্য ও সহনশীল হয়ে নাগরিক স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে।

প্রকৌশলীদের উদ্দেশে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রকৌশল বিভাগসহ চসিকের সব শাখা-প্রশাখায় নিয়োজিতদের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। কারও কোনো অভাব-অভিযোগ নেই। তা সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে কর্মবিমুখতা, কাজে অবহেলা এবং ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে-যা কাম্য নয়। কাজের প্রতি মনোযোগী এবং দায়িত্বের প্রতি সচেতনতা আবশ্যক। চসিক এবং সরকারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে প্রকৌশলীদের সদা সচেষ্ট থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে পরিণাম শুভ হবে না।

সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মো. মাহফুজুল হক, আনোয়ার হোছাইন, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, কামরুল ইসলামসহ সিভিল, যান্ত্রিক ও বিদ্যুৎ উপ শাখাগুলোর নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও উপ সহকারী প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।