ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোরা-ঢল

আউশের ৪৭৬৫, সবজির ৩৪০৮ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
আউশের ৪৭৬৫, সবজির ৩৪০৮ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত ঘূর্ণিঝড় মোরা এবং পরবর্তীতে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমি

চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় মোরা এবং পরবর্তীতে পাহাড়ি ঢলের ফলে চট্টগ্রাম জেলায় সবমিলিয়ে ৩ হাজার ৪০৮ হেক্টর সবজি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই দুর্যোগে ৪১১ দশমিক ৫ হেক্টর আউশ বীজতলা এবং ৪ হাজার ৭৬৫ হেক্টর আউশ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৫ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৬ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের জলবায়ু ও আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে আউশ আবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি সম্পূরক সেচবিহীন বৃষ্টিনির্ভর একটি ফসল।

তাই আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। কিন্তু মোরা এবং মোরা পরবর্তী অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ৪১১ দশমিক ৫ হেক্টর আউশ বীজতলা এবং ৪ হাজার ৭৬৫ হেক্টর আউশ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মোরার কারণে ৮.৫ হেক্টর আউশ বীজতলা এবং ৪ হেক্টর আউশ জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ’

‘অন্যদিকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ৪০৩ হেক্টর আউশ বীজতলা এবং ৪ হাজার ৭৬১ হেক্টর আউশ জমি পানিতে নিমজ্জিত ছিল। তবে পানি কমে যাওয়ার পর এর কিছুটা পুনরুদ্ধার করা গেছে। আউশ রোপণের সময় থাকায় পুনরায় বীজতলা প্রস্তুত করে চারাগাছ তৈরি করা হয়। পরে তা সেই জমিগুলোতে রোপণ করা হয়’-বলেন আমিনুল হক চৌধুরী

তিনি আরও বলেন, ‘একই দুর্যোগে সবজি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মোরার কারণে ২৯৩ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর সবজি জমি পানিতে নিমজ্জিত ছিল, যার অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ’

এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামের একটা সুবিধা হলো পানি বেশিদিন জমে থাকে না। দ্রুতই সরে পড়ে। এ কারণেই ক্ষতি দ্রুত পুষিয়ে দেওয়া গেছে। না হলে, বড় ধরনের বিপর্যয় হয়ে যেত।

আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা এবং মোরা পরবর্তী অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কৃষকদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।