কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৫ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৬ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের জলবায়ু ও আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে আউশ আবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি সম্পূরক সেচবিহীন বৃষ্টিনির্ভর একটি ফসল।
‘অন্যদিকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ৪০৩ হেক্টর আউশ বীজতলা এবং ৪ হাজার ৭৬১ হেক্টর আউশ জমি পানিতে নিমজ্জিত ছিল। তবে পানি কমে যাওয়ার পর এর কিছুটা পুনরুদ্ধার করা গেছে। আউশ রোপণের সময় থাকায় পুনরায় বীজতলা প্রস্তুত করে চারাগাছ তৈরি করা হয়। পরে তা সেই জমিগুলোতে রোপণ করা হয়’-বলেন আমিনুল হক চৌধুরী
তিনি আরও বলেন, ‘একই দুর্যোগে সবজি জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মোরার কারণে ২৯৩ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর সবজি জমি পানিতে নিমজ্জিত ছিল, যার অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ’
এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামের একটা সুবিধা হলো পানি বেশিদিন জমে থাকে না। দ্রুতই সরে পড়ে। এ কারণেই ক্ষতি দ্রুত পুষিয়ে দেওয়া গেছে। না হলে, বড় ধরনের বিপর্যয় হয়ে যেত।
আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোরা এবং মোরা পরবর্তী অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কৃষকদের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি