রোববার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার এই বদলির আদেশ দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) আনোয়ার হোসেন।
বদলির বিষয়টি জানতে পারলেও কি কারণে করা হয়েছে তা অবগত নন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আব্দুল ওয়ারিশ খান, চান্দগাঁও থানা সিএমপির যে অপরাধ বিভাগের অধীনে আছে।
‘কমিশনার স্যার বদলির আদেশ দিয়েছেন। এটি স্যারের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে।
গত ১১ জুলাই রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানায় নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতে নগরীর চাঁন্দগাও এলাকায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের জঙ্গি টিমের সদস্য এএসআই সাদেককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এই ঘটনায় আটক করা হয় মহানগর ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মনির চৌধুরীকে (২৭) এবং তার সহযোগী মো. আমীরকে (২৩)।
সূত্রমতে, চান্দগাঁওয়ে রূপালি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. দিদার ছাত্রলীগ নেতা মনিরের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেন। রাত ৯টার দিকে মনির ওই টাকা আদায়ের জন্য কথা বলতে দিদারের বাসায় যান। সেখানে হট্টগোল শুরু হলে বাসা থেকে বেরিয়ে এএসআই সাদেক যান ঘটনা দেখতে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিদারের বাসায় চড়াও হলে এএসআই সাদেক বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাকে মারতে মারতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেরাই চান্দগাঁও থানায় নিয়ে যান। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মনির ও আমীরকে আটক করে রাখে। এরপর প্রায় ৫০-৬০ জন ছাত্রলীগের কর্মী থানার ভেতরে ঢুকে যায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, চিৎকার-চেঁচামেচি করে তারা পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর চড়াও হয়। আটক দুজনকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। সড়কে এসে গাড়ি ভাংচুর করে। তবে অতিরিক্ত পুলিশ থানায় যাবার পর উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা চলে যায়।
এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে আহত করা এবং থানায় ঢুকে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাদানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়।
আর সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠে ওসি সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে।
পাঁচদিন পর সাইফুলকে বদলি করে নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে। আর বিশেষ শাখা থেকে নেজাম উদ্দিনকে পাঠানো হয়েছে চান্দগাঁও থানায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
আরডিজি/টিসি