নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রোববার রাতে আমরা কমিটি জমা দিয়েছিলাম। সোমবার দুপুরে দলের মহাসচিব ২৭৫ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেন।
তিনি জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি একজন, সহসভাপতি ২৯, যুগ্ম সম্পাদক ১২, সহ সাধারণ সম্পাদক ১৮, সাংগঠনিক সম্পাদক ৩, দফতর সম্পাদক ১, প্রচার সম্পাদক ১ ও কোষাধ্যক্ষ একজন।
২০১৬ সালের ৬ আগস্ট ডা. শাহাদাত হোসেনকে সভাপতি, আবু সুফিয়ানকে সহ-সভাপতি ও আবুল হাসেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটি গঠনের পরে এক সংবাদ সম্মেলনে নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ১ মাসের মধ্যে নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন ডা.শাহাদাত হোসেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের কয়েকমাস পরেও কমিটি করতে পারেননি।
পরে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২ থানার ১৪ জন নেতা গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি না করায় সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন থানার নেতারা। কমিটি গঠনের ৮ মাসেও পূর্ণাঙ্গ না করায় নেতাকর্মীদের হতাশার কথা জানান। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়াতে নগর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন এক মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করতে ডা. শাহাদাতকে নির্দেশনা দেবেন বলে থানার নেতাদের আশ্বাস দেন। মূলত এরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিট গঠনে তৎপর হয় নগর বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
এমইউ/টিসি