মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাত ১২টা থেকে চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকার সব ফিলিং স্টেশনে একযোগে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নগরীর টাইগারপাস মোড়ের ইন্ট্রাকো সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক সাজ্জাতুল হোসেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বিবিয়ানায় গ্যাস উৎপাদন বন্ধ আছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
চট্টগ্রামের প্রায় ৫০টি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় অধিকাংশ অটোরিকশা চালকই সেটা জানতে পারেননি। বুধবার সকালে বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই।
অটোরিকশা চালক মো.নূরনবী গ্যাস না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন একদিন গাড়ি বন্ধ রাখছিলাম। কাল (মঙ্গলবার) সারাদিন গাড়ি চালাইছি। কালও শুনিনাই যে আজ গ্যাস দিব না। এখন গাড়ি বন্ধ করে রাখতে হবে।
কাজির দেউড়ি এলাকায় অটোরিকশা চালক সাহেদ বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামের গাড়িগুলো তো সব বন্ধ থাকবে। একটাও গ্যাস নিতে পারে নাই। গ্রামের লোকজন এখন কিভাবে শহরে আসবে ?
মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি শুনে তড়িঘড়ি করে অনেকেই ভিড় জমান ফিলিং স্টেশনে। অটোরিকশার দীর্ঘ সারির কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌরসদরের থানার মোড় থেকে শান্তিরহাট হয়ে ক্রসিং পর্যন্ত, আবার কলেজ বাজার থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত যানজট লেগে যায়।
পটিয়ার গণমাধ্যম কর্মী আহমদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, দুটি ফিলিং স্টেশনে সিএনজি টেক্সির এত লম্বা লাইন ছিল যে, রাস্তার অর্ধেক তারা দখল করে রেখেছিল। এজন্য গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। যানজট বড় আকার ধারণ করে।
পটিয়া থানার ওসি শেখ মো.নেয়ামত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে জ্যাম শুরু হয়। রাত ১টার দিকে স্বাভাবিক হয়েছে।
ব্যক্তিগত যানবাহন বিশেষ করে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের চালক-মালিকরাও সমস্যায় পড়েছেন। নগরীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে সিএনজি অটোরিকশার পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনেরও লম্বা লাইন দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
আরডিজি/টিসি