ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলের সাথে মিতালি বিনোদনপিয়াসী মানুষের

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
জলের সাথে মিতালি বিনোদনপিয়াসী মানুষের ছবি: উজ্জল ধর, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ঈদের আনন্দকে আরও প্রাণবন্ত করতে প্রকৃতির কাছে ছুটেছেন বিনোদনপিয়াসী মানুষ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অবলোকন করেছেন, জলের সঙ্গে মিতালীও গড়েছেন।  নগরীর ফয়’স লেক ও সী-ওয়ার্ল্ড, চিড়িয়াখানা, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন স্পটে সকাল থেকে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।

পাশাপাশি বহদ্দারহাটের স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশু পার্ক, কাজির দেউড়িতে শিশু পার্ক এবং বিমানবন্দর রোডের বাটারফ্লাই পার্কেও ছিল দর্শনার্থীর ভিড়।

দর্শনার্থীদের টানতে এসব বিনোদন কেন্দ্রে ছিল বিশেষ আয়োজন।

সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়।

ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কে আসা সাইফুদ্দিন রহমান নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে জানান, ফয়’স লেকের ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, বাম্পার কারে চড়ার মজা আলাদা।

  আমরা প্রতিবছর আসি, খুব মজা হয় এখানে।  সী-ওয়ার্ল্ডে টিকেটের ফি বেশি, এটা কমানো দরকার।

কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিত ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার দর্শনার্থী ফয়’স লেকে এসেছে।  দর্শনার্থীর চাপ সামলাতে ফয়’স লেকে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  

বিভিন্ন প্যাকেজে ছোট ও বড়দের প্রবেশের জন্য টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত।  প্রবেশের টিকেটের সাথে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য রাইড ও খাবারের প্যাকেজ সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এবার রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী আসার কথা জানিয়েছেন কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, এবার চিড়িয়াখানার ৪৭ প্রজাতির ৩০০ প্রাণী দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। বাঘ-বাঘিনী থাকায় এবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ইতিহাসে উপস্থিতি রেকর্ড পরিমাণ।  ঈদের দিন ও ২য় দিনে প্রায় ৩৫ হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় এসেছে।  বিশেষ করে বাঘ, হরিণ ও কুমিরের খাঁচায় দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষণীয়।

অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষে পতেঙ্গা সী-বীচেও দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।  শিশু থেকে নানা বয়সী দর্শনার্থীরা পতেঙ্গায় সাগরের লোনা পানিতে জলখেলি ও ফটোসেশনে মেতে উঠেছে। পরিবার- পরিজন নিয়ে নগরী ছাড়িয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজারো দর্শনার্থীরা এখানে এসে সময় কাটিয়েছে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আসা রাহাত নামে এক দর্শনার্থী জানান, ঈদের ছুটিতে বিকেলে পতেঙ্গা বিচে আসব না, এটা কখনও হয়নি।   এমনিতে তো আসি, কিন্তু ঈদের সময় অবশ্যই আসি।   কারণ ঈদের সময় মানুষ থাকে বেশি।   অন্যরকম মজা।

তিনি বলেন, এত সুন্দর একটা সৈকত, অথচ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হয় না।   প্রবেশপথে গাড়ির জট।   মানুষের চাপ তো আছেই।   শুধু পুলিশ দিয়ে তো সবকিছু সামলানো যায় না।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।