ঈদুর ফিতর উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো মঙ্গলবার (২৭ জুন) সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে পুর্নমিলনীর আয়োজন করেন নোমান। নগরীর কাজীর দেউরীতে ভিআইপি ব্যাংকুইট হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দলের নেতাকর্মী, একসময়ের রাজনৈতিক সতীর্থ, সাংবাদিক-পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের পদচারণায় পুরো অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়। নোমান নিজে অতিথিদের আপ্যায়ন করেন।
উপস্থিত সুধীজনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে নোমান বলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা হচ্ছে দুর্নীতি আর দুর্ভিক্ষের প্রতীক। ধানের শীষ হচ্ছে উন্নয়ন আর উৎপাদনের প্রতীক। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নৌকাকে পদ্মায় ডুবিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করবে। এই দাবি আদায় করে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে।
নোমান বলেন, সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মিথ্যা অপপ্রচার করছে সরকার। যদি সত্যিই সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতো তাহলে বিদেশিরা বাংলাদেশে চাকুরি করার জন্য আসত। আমাদের দেশের জনগণকে দশ হাজার টাকা বেতনের জন্য মালয়েশিয়া যেতে হত না।
মন্ত্রীসভার কিছু অর্বাচীন সদস্য প্রতিনিয়ত মিডিয়ার সামনে তর্জন গর্জন করে সরকারকে কৃত্রিমভাবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন নোমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর হেলাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী ও শিক্ষক ড. নসরুল কদির।
সাংবাদিকদের মধ্যে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, জাহিদুল করিম কচি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ড্যাব এর সভাপতি ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক এম এ সবুর, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, বিএনপি নেতা কাজী আকবর, কাজী বেলাল, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাফফর আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি