সোমবার (২৬ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে নগরীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পূর্ব গেইটের পাশের ফুটপাতে এক নবজাতককে পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্বজিৎ শর্মা বাংলানিউজকে জানান, 'চমেক হাসপাতালের পূর্ব গেইট দিয়ে আমার কয়েকজন কাজিনসহ চকবাজারের দিকে যাচ্ছিলাম।
'তবে ততক্ষণে নবজাতকটি আর বেঁচে নেই। পরবর্তীতে প্রত্যক্ষদর্শীরা চমেক হাসপাতালে খবর দিলে সেখান থেকে লোক এসে নবজাতকটি হাসপাতালে নিয়ে যান। '
মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ক্ষোভ প্রকাশ করে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের ছবিসহ তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, 'কেউ নবজাতক শিশুটিকে অন্ধকার ফুটপাতে রেখে গেছে। রেখে যাওয়ার সময় বাচ্চাটি জীবিত নাকি মৃত ছিল কেউ জানেনা। কিছু পথকুকুর বাচ্চাটির চারপাশে একত্রিত হয়ে খাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা বিশ্বজিৎ শর্মাসহ তার কিছু বন্ধু ঐ পথে হেটে আসার সময় হলুদ কাপড় (চাদর) মোড়ানো কিছু একটা দেখার পর কুকুরগুলোকে তাড়িয়ে দিয়ে দেখতে পেল একটি নবজাতক শিশু। মুখের একপাশে কুকুরের কামড়ের দাগ। আশপাশের লোকজনকে একত্রিত করলে সবাই নিশ্চিত করে বাচ্চাটি মৃত। '
নুরুল আজিম রনি বাংলানিউজকে জানান, এ ধরনের মানবিক বিপর্যয় কখনো কারো কাম্য নয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বর্তমান সময়ে এরকম ঘটনায় দায়ীদের সনাক্ত করা যায়। রাষ্ট্রের নিষ্পাপ নবজাতক হত্যার ঘটনাকে হত্যা মামলার মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা যায়। এমন ঘটনার দায়ীরা বিচারের মুখামুখি হলে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা হ্রাস পাবে। এ জঘন্য কাজ যারা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে চলতি বছরের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে নগরীর কর্ণেলহাট এলাকায় কে বা কারা এরূপ এক নবজাতক শিশুকে ডাস্টবিনে ফেলে যান। পরবর্তীতে নবজাতককে সকালে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় নবজাতকটি বেঁচে যায়। এ কুড়িয়ে পাওয়া শিশুর নাম রাখা হয় 'একুশ'। বর্তমানে একুশকে আদালতের নির্দেশনায় লালন পালনের দায়িত্ব পালন করছেন এক ডাক্তার দম্পতি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, ২৭ জুন, ২০১৭
এসবি/টিসি